ভূ-মধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে স্বপ্নের দেশ ইতালিতে যাবার সময় লিবিয়া ও তিউনিশিয়া উপকূল থেকে বাংলাদেশিসহ প্রায় দেড়শতাধিক অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এরমধ্যে বেশিরভাগই আফ্রিকা মহাদেশের নাগরিক বলে জানা গেছে। জার্মানির একটি এনজিও সংস্থার পরিচালনায় ‘এসওএস মেডিটেরিয়ান’ নামে একটি উদ্ধারকারী জাহাজ এসব অভিবাসীদের উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত জাহাজ অভিবাসীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ইতালির দ্বীপাঞ্চল লেম্পাদুসায় এসে পৌঁছায়। বর্তমানে এসব অভিবাসীদের লেম্পাদুসা শহরের একটি নির্দিষ্ট স্থানে দুই সপ্তাহের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, গত সপ্তাহে ভূ-মধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূল থেকে দুটি নৌকায় করে বাংলাদেশ, ঘানা, নাইজেরিয়াসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের প্রায় দেড়শতাধিক অভিবাসী ইতালির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পরে তারা ইতালির সীমানায় প্রবেশ করলে ভূ-মধ্যসাগরে টহলরত জাহাজ ‘এসওএস মেডিটেরিয়ান’র সামনে পরলে তাদের উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া একইদিনে লিবিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশ তিউনিশিয়া থেকে ছেড়ে আসা ছোট্ট দুটি কাঠের নৌকা থেকে আরো ১৫ অভিবাসীকে উদ্ধার করে জাহাজ ‘এসওএস মেডিটেরিয়ান’।
প্রতিবছরের এই সময়ে সমুদ্রপথে লিবিয়া হয়ে কয়েকহাজার অভিবাসী ইতালি প্রবেশ করে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মতে, গতবছর প্রায় ১ লক্ষাধিক অভিবাসী ভূ-মধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া ও তিউনিশিয়া হয়ে ইতালিতে প্রবেশ করে। এছাড়াও একই বছরে প্রায় ১২’শ অভিবাসীর মৃত্যু হয় এই ভূ-মধ্যসাগরে।শীতকালের তুলনায় গ্রীষ্মকালে আবহাওয়া ভালো থাকায় এসময় অনেক অভিবাসী এই পথে ইতালি যাবার চেষ্টা করে।
এবিষয়ে দেশটির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবপাচারকারী চক্রকে যদি আটক করে শাস্তির আওতায় না আনা যায় তাহলে এ মরনযাত্রা কখনোই থামানো সম্ভব না।
ইত্তেফাক/কেকে