শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভিয়েনায় ঈদুল আজহা উদযাপিত

আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২০, ০৫:৩৯

মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আজহা অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ৩১ জুলাই শুক্রবার উদযাপিত হয়। করোনার ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিধি-নিষেধ মেনে ধর্মীয় রীতি ও ঐতিহ্য অনুসরণ করে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে। 

নামাজ শেষে ছিল না কুশল বিনিময়ের উষ্ণ করমর্দন এবং কোলাকুলি। এই ঈদ আনন্দ ও বিষাদে মোড়ানো অন্যরকম ঈদ। প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলিম সম্প্রদায় কর্তৃক পরিচালিত পাঁচটি মসজিদ রয়েছে অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়। এই মসজিদগুলোতে প্রতিবারের মতো এবারও তিনটি করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা, সাড়ে ৯টা ও ১১টায় পরপর অনুষ্ঠিত জামাতে ভিড় ছিল না। ভিয়েনার কেন্দ্রস্থলে বাংলাদেশিদের অর্থে ক্রয় করা বাড়িতে ‘বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার বাইতুল মোকাররম' এ স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন ড. ফারুক আল মাদানী। 

প্রধান জামাতে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি, অস্ট্রিয়া প্রবাসী লেখক, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সহ-সভাপতি এমরান হোসেন, মিজানুর রহমান শ্যামল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন হোসেন, লুৎফর রহমান সুজন, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ নেতা গাজী মোহাম্মদ, সাজ্জাদ হোসেন হিমু, বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার বাইতুল মোকাররম ভিয়েনার সভাপতি আবিদ হোসেন খান তপন, বাংলাদেশ অষ্ট্রিয়া সমিতির সাবেক সভাপতি মাসুদুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অবদুর রব খান, অষ্ট্রিয়া বিএনপি নেতা দেলওয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। 

তিনটি জামাতে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিগণকে মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করে মসজিদ পরিচালনা কমিটি। অষ্ট্রিয়ায় সবগুলো ঈদের জামাতে করোনামুক্ত এবং মানব কল্যাণ ও বিশ্বময় শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। বাংলাদেশিদের মসজিদগুলোতে প্রতিটি জামাতে বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের এবং মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। 

অন্যান্য বছরের মতো এবার ভিয়েনায় বসবাসকারী বাংলাদেশিদের অনেকেই কোরবানি দিচ্ছেন না। এর কারণ করোনা ভাইরাস। ভিয়েনা শহরের মধ্যে পশু জবাই করা নিষিদ্ধ থাকায় শহরের বাহিরে কসাইখানায় কোরবানি দিতে হয়। আর এইসব কসাইখানাগুলো ভিয়েনা থেকে বেশ দূরে। অনেকে ১০০ কিলোমিটার, কেউ ১৫০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে তাঁদের পছন্দের পশু কোরবানি করেছেন। কোরবানির ১/২ মাস আগে কসাইখানায় গিয়ে পশু নির্দিষ্ট করে বুকিং দিতে হয়। কোরবানির মাংস কেটে তা গুছিয়ে দেওয়ার জন্য ঐ সময়টায় কসাইখানা কর্তৃপক্ষ মুসলমান কর্মচারী নিয়োগ দেন। যার কারণে ইসলামিক নিয়ম মতো কোরবানি করতে কোন রকম সমস্যা হয় না। 

উল্লেখ্য অষ্ট্রিয়া প্রবাসী সিংহভাগ বাংলাদেশি ভিয়েনায় বাস করেন। রাজধানীর বাইরে অন্যান্য শহরেও ঈদ উদযাপন করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

ইত্তেফাক/কেকে