শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্বের প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করলো বাংলাদেশ

আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:৪০

পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্বের প্রতি পূর্ণ ও দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের বেশ কিছু সদস্যরাষ্ট্র আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এ প্রতিশ্রুতির কথা জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা। 

পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি কার্যকর করার ঐতিহাসিক মুহূর্ত উদ্‌যাপন করতে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।

বিশ্বকে পারমাণবিক যুদ্ধের বিভীষিকা থেকে মুক্ত করার জন্য ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে উদাত্ত আহান জানিয়েছিলেন, প্রদত্ত বক্তব্য তা উদ্ধৃত করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, ‘পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের প্রতি অবিচল থাকা বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি। যার ফলে এই চুক্তি স্বাক্ষরকারী প্রথম ৫০টি দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর ৫০তম অনুসমর্থনকারী দেশ হিসেবে হন্ডুরাস দলিল জমা দেয়। এর ৯০ দিন পর গতকাল ২২ জানুয়ারি থেকে চুক্তিটি কার্যকর হয়েছে।

পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ–সম্পর্কিত চুক্তি (টিপিএনডব্লিউ) স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর জন্য পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার, বিকাশ, পরীক্ষা, উৎপাদন, মজুতকরণ, কেন্দ্র স্থাপন, স্থানান্তর ও হুমকি প্রদান নিষিদ্ধ। এসব লক্ষ্য অর্জনে এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক কোনো চুক্তি। এটি এ পর্যন্ত ৮৬টি দেশ স্বাক্ষর করেছে এবং ৫১টি দেশ অনুসমর্থন করেছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জাইসের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ

জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমার আঘাত নিয়ে বেঁচে থাকা ব্যক্তিসহ (হিবাকুশাস) যেসব কর্মী সুদীর্ঘ সময় ধরে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন, তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। ওই দুই হামলায় তেজস্ক্রিয়তার শিকার ও এর ক্ষত নিয়ে বেঁচে থাকা লোকজনের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি।

পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ–সম্পর্কিত চুক্তি (টিপিএনডব্লিউ) স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর জন্য পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার, বিকাশ, পরীক্ষা, উৎপাদন, মজুতকরণ, কেন্দ্র স্থাপন, স্থানান্তর ও হুমকি প্রদান নিষিদ্ধ। এসব লক্ষ্য অর্জনে এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক কোনো চুক্তি। এটি এ পর্যন্ত ৮৬টি দেশ স্বাক্ষর করেছে এবং ৫১টি দেশ অনুসমর্থন করেছে।

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে বোয়েসেল ও জাপানি কোম্পানির মধ্যে চুক্তি 

গতকালের অনুষ্ঠানটি অস্ট্রিয়া, ব্রাজিল, কোস্টারিকা, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও থাইল্যান্ডের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস ও ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন টু অ্যবোলিশ নিউক্লিয়ার উইপনের প্রধানেরা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি উপলক্ষে একটি ভিডিও বক্তব্য দেন আন্তোনিও গুতেরেস।

ইত্তেফাক/এএএম