শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কানাডার ম্যানিটোবার নদীতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মরদেহ

আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২১, ১২:২৯

কানাডার ম্যানিটোবা প্রদেশের রাজধানী উইনিপেগের রেড রিভার নদী থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সামী উজ্জামানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  ২৭ জানুয়ারি ২৪ বছর বয়সী নিখোঁজ সামীর মরদেহ উদ্ধার করে উইনিপেগ সিটি পুলিশ।

ম্যানিটোবা থেকে ইত্তেফাককে মোহাম্মদ সাকিবুর রহমান খান জানান, এই নদী ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানিটোবার ক্যাম্পাস সংলগ্ন। সে ইউনিভার্সিটির কাছে একটি এপার্টমেন্টে কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সাথে ভাড়া থাকতো। 

সামী ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানিটোবার কম্পিউটার সাইন্সের অনার্সের ছাত্র ছিলো। পাশাপাশি স্থানীয় ‘বাইসন ট্রান্সপোর্ট’ নামের একটি কোম্পানিতে ডাটা এনালিস্ট হিসাবে পার্ট টাইম চাকরিও করতো। সামীর গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায়।

আরও পড়ুন: টরন্টো-ঢাকা পথে ডানা মেললে কতটা লাভবান হবে বিমান? 

উইনিপেগ পুলিশ সূত্র মতে জানা যায়, এ মাসের ৯ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলো। সামীর রুমমেট এবং বন্ধুরা তার কোন খোঁজ-খবর না পেয়ে পুলিশকে জানায়। জানানোর সাতদিন পর পুলিশ নদী থেকে সামীর মরদেহ উদ্ধার করে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার লাশ পুলিশ হেফাজতে আছে। উইনিপেগ পুলিশ এখন পর্যন্ত মৃত্যুর কোন কারণ উল্লেখ করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি অপমৃত্যু।

ইতিপূর্বে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ইমরান নামে আরও এক ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানিটোবার বাংলাদেশি ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টের মৃত্যু অপঘাতে মৃত্যু হয়। ইমরানের পরিবার তার লাশ নিতে চায়নি বা কবর দিতে আসতে পারেনি। পরে বাংলাদেশি কমিউনিটির উদ্যোগে ইমরানের লাশ উইনিপেগে দাফন করা হয়।

আরও পড়ুন: কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি চালুর উদ্যোগ

বিগত কয়েক বছরে এরকম অপমৃত্যুর সংখ্যা অর্ধ ডজন ছাড়িয়ে গেছে। কানাডিয়ান বিভিন্ন মিডিয়া থেকে জানা গেছে, তারা হচ্ছে-নিউফাউন্ডল্যান্ডে অপু আকবর, কানাডার সাস্কাচোয়ানে আব্দুল্লাহ আল-মাসুম, অটোয়ায় তৌসিফ চৌধুরী, টরন্টোতে ইকরামুল মিলন, ম্যানিটোবার মোহাম্মদ ইমরান খান ও টরন্টোতে নয়ন দাসের রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে।

ইত্তেফাক/এএএম