আমিরাত থেকে দেশে পাঠানো হলো ওমর ফারুকের মরদেহ

প্রায় একমাস নানা জটিলতার পর সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে পাঠানো হলো ওমর ফারুকের মরদেহ। একমাস আগে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ওমর ফারুক (৩৫) আবুধাবি মাফরাক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এর আগে আবুধাবির একটি কারাগারে তিন বছর বন্দী ছিলেন তিনি। বন্দী থাকা অবস্থায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে তাকে আবুধাবি মাফরাক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘ ১ মাস অক্লান্ত পরিশ্রমের পর আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাস, আবুধাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ইফতেখার হোসাইন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নাসির তালুকদার, প্রবাসী রাঙ্গুনিয়া সমিতি দুবাই সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার, সমিতির সহ-সভাপতি ওসমান গণির বিশেষ সহযোগিতায় লাশ দেশে পাঠানো হয়েছে। আবুধাবি ইত্তেহাদ এয়ারলাইন্স-এর একটি বিমানে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় সম্পূর্ণ বিনা খরচে তাকে দেশে পাঠানো হয়।
এব্যাপারে দূতাবাসের পাশাপাশি সহযোগিতা করেছে আরব আমিরাত সরকারও। এদিকে মর্গে ওমর ফারুকের লাশ সনাক্ত করতে আবুধাবি প্রবাসী রাঙ্গুনিয়ার লোকদের অনুরোধ জানানো হলেও কেউ সেই ডাকে সাড়া দেয়নি। পরবর্তীতে দূতাবাস এবং প্রবাসী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় ওমর ফারুকের লাশ দেশে পাঠানো হয়।
এরমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ওমর ফারুকের পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা দেয়ার ঘোষণা করেছে। ওমর ফারুকের পিতার নাম মোহাম্মদ শাফি। তার গ্রামের বাড়ি রাঙ্গুনিয়া পোমরা এলাকায়।
ইত্তেফাক/এমআর