কানাডায় বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিস ইন কানাডার উদ্যোগে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়েছে। ভার্চুয়াল আলোচনার মধ্য দিয়ে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়।
‘মুক্তিযুদ্ধের সূচনা: নিরস্ত্র থেকে সশস্ত্র বাঙালি’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবীর, মুক্তিযোদ্ধা ড. মতিউর রহমান, মেজর(অব.) সাইদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের হাই কমিশনার ড. খলিলুর রহমান। এ সময় আলোচকেরা মুক্তিযুদ্ধের পূর্ব, মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং মুক্তিযুদ্ধোত্তর চিত্র তুলে ধরেন। এটি বঙ্গবন্ধু সেন্টারের দ্বিতীয় সেমিনার।
গত মাসে মেনিটোভা বিশ্ব বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু সেন্টার প্রতিষ্ঠার পর গত ৬ এপ্রিল প্রথম সেমিনার ছিলো ‘ক্রমবর্ধমান রোহিঙ্গা সংকট ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: প্রত্যাবাসন এবং জবাবদিহিতার উদ্যোগে কানাডার ভূমিকা’।
এতে অংশ নিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন, বিসিবিএসের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং কানাডায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার ড. খলিলুর রহমান, স্থানীয় সিনেটর মেরিলো ম্যাকফেডারন সিএম, আলবার্টার সাংসদ হিদার ম্যাকফারসন, সাসকাচোয়ানের সাংসদ ব্র্যাড রেডেকপ্প, অধ্যাপক জন প্যাকার এবং সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ডা. কাওসার আহমেদ।
এ সময় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা নিয়ে কানাডার ভূমিকার পাশাপাশি নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের এই সংকট এবং সমস্যা নিয়ে একমাত্র কানাডা যেভাবে এগিয়ে এসেছে, সেভাবে আর কোনো দেশ পাশে দাঁড়ায়নি।
কানাডার সহযোগিতায় রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে সব সময় সোচ্চার। আর্থিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে ‘বিশেষ দূত’ নিয়োগ, প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরাসরি অং সান সুচিকে ফোন, সরজমিনে বাংলাদেশ সফর, এমন কি সুচিকে দেওয়া কানাডার নাগরিকত্ব বাতিলের মতো অনেক পদক্ষেপ নিয়ে বন্ধুত্বের বিরল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
ইত্তেফাক/জেডএইচডি