শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

২৫ হাজার প্রবাসীর এ বছর মালয়েশিয়া ফেরা অনিশ্চিত

আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১:৪১

দেশে ছুটিতে এসে আটকে পড়া ২৫ হাজার প্রবাসী কর্মীর চলতি বছর মালয়েশিয়ায় ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। টানা চার মাস লকডাউনের পর মালয়েশিয়ান সরকার অনেকগুলো বিধিনিষেধ শিথিল করলেও বিদেশি কর্মীদের দেশটিতে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। পুনরায় নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ফলে করোনাকালে যেসব বিদেশি সাধারণ শ্রমিক ও গৃহপরিচারিকা বৈধভাবে দেশে ফিরেছিলেন তাদের কর্মস্থলে ফেরার অপেক্ষার প্রহর শিগিগর শেষ হচ্ছে না।

গতকাল রবিবার মালয়েশিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা ‘বারনামা’র খবরে বলা হয়, দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী সারাভানান মুরুগান এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় পুনরায় প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। ছুটিতে থাকা বিদেশি সাধারণ শ্রমিক ও গৃহপরিচারিকা কখন ফিরতে পারবেন সে বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। সবকিছু নির্ভর করছে বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির ওপর।

A question for Cabinet: To have or not to have foreign workers

সারাভানান মুরুগান বলেন, ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে কোভিড-১৯-এর কারণে মালয়েশিয়ায় চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফলে তারপর কোনো বিদেশি কর্মী মালয়েশিয়া প্রবেশ করতে পারেনি। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনো শ্রমিক ও গৃহপরিচারিকা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না। নিবন্ধিত এবং লাইসেন্সপ্রাপ্ত বেসরকারি কর্মসংস্থান সংস্থাগুলোকে অনুরোধ করছি এবং পরামর্শ দিচ্ছি যে, উত্স দেশ থেকে গৃহকর্মীদের প্রবেশের বিষয়ে নিয়োগকর্তাদের বিভ্রান্ত করে আমাদের পরামর্শ ছাড়া এমন কোনো বিবৃতি বা বিজ্ঞাপন দেবেন না।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির কারণে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ হয় ২০২০ সালের মার্চে। পরে জুলাইয়ে শর্ত সাপেক্ষে ট্রানজিট যাত্রী ও মালয়েশিয়ার রেসিডেন্স পারমিটধারী, পেশাজীবী, শিক্ষার্থীদের সে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও ছুটিতে এসে বাংলাদেশে আটকে পড়া শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় যেতে কিংবা দেশে ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এক বছর ছয় মাসের বেশি সময় ধরে আটকে আছেন ছুটিতে আসা কমপক্ষে ২৫ হাজার মালয়েশিয়া প্রবাসী। এই পরিস্থিতিতে আশা করা হয়েছিল ২০২১ সালের শেষের দিকে সীমান্ত খুলে দিলে ছুটিতে থাকা কর্মীরা দেশটিতে ফিরে কাজে যোগ দিতে পারবেন। বৈশ্বিক করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর ২০২০-এর ১৮ মার্চ থেকে শুরু হয় দেশটিতে সর্বাত্মক লকডাউন। ঐ সময় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে যেসব কর্মী ছুটিতে কিংবা জরুরি প্রয়োজনে নিজ নিজ দেশে গিয়েছিলেন তারা এখনো আটকা পড়ে আছেন।

ইত্তেফাক/এমআর