শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান: ব্যারিস্টার আমীর উল-ইসলাম 

আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২১, ০২:২৭

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের রচয়িতা ব্যারিস্টার আমীর উল-ইসলাম বলেন, ‘ আজ ১০ এপ্রিল। ১৯৭১ সালের এই দিনটিতে মুজিবনগর সরকার কর্তৃক জারিকৃত ‘স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র’ এর মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়। স্বাধীনতার এই ঘোষণাপত্রই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান হিসেবে দেশ পরিচালিত হয়েছিলো। ৭১ সালের ৭ মার্চ থেকে ৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারিখে সংবিধান প্রবর্তিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়কাল ১৫০ অনুচ্ছেদের আওয়তায় ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী হিসেবে গণ্য হয়েছে। আমাদের সংবিধানের সপ্তম তফসিলে ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

‘বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার ৭১ সালের ৯ মাস ভারতে বসেই আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিলো। মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজনৈতিক, কুটনৈতিক, সামরিক কার্যক্রম সহ আন্তর্জাতিক জনমত গঠনেও কাজ করছে এই অস্থায়ী সরকার।’

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘ ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুসারে ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতার এই ঘোষণাপত্র লিখিত হয়েছে একজন আইনজীবীর হাতেই। এই ঘোষণাপত্রে মোট ১৮ টি প্যারা ও ৪৮৯ টি শব্দে একটি গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়।’

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ব্যারিস্টার আমীর উল-ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

আর এই অস্থায়ী সরকারের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করা হয়। ঘোষণাপত্রনুযায়ী এটা ছিলো স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকার। ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ একটি ঘোষণা হলেও একটাকে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান বলতে পারি।’

আইন বিশেষজ্ঞ বঙ্গবন্ধুর সহচর ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাধীনতার এই ঘোষণাপত্র এমন একটি দিকনির্দেশনা এবং দার্শনিক ভিত্তি যেটাতে একটি রাষ্ট্রের প্রকৃতি ও সরকারের রুপরেখা সন্নিবেশিত হয়েছে। যেটার ভিতিতে যুদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশের ১ কোটি যে রিফিউজি ছিলো আমি চেয়ারম্যান অব দি বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার সোসাইটির দায়িত্বে ছিলাম। সেখানে আমরা কয়েক হাজার ভলেনটিয়ার তৈরি করতে পেরেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন, মনসুর আলী, কামরুজ্জমান সাহেবকে এই ঘোষণাপত্রসহ সামগ্রিক বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করা হয়েছিলো। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের এই ঐতিহাসিক দলিলের মাধ্যমে বাঙালি জাতি তার আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলো।’

ইত্তেফাক/কেকে