শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মহাজোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা কাল

আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:৩০

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে আলোচনা হবে। গতকাল শনিবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক সূত্র ইত্তেফাককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩০টি আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাকি ৭০ আসন রাখা হয়েছে ১৪ দলসহ মহাজোটের শরিকদের জন্য। আগামীকাল সোমবার গণভবনে মহাজোটের সঙ্গে বৈঠক করবে আওয়ামী লীগ। সেখানে আসন ভাগাভাগি হবে। ৭০টি আসন জোট শরিকদের দেওয়া হবে। কে কয়টি আসন পাবে সেটি এ বৈঠকে ঠিক হবে। একই সঙ্গে ৭০ আসনে জোট শরিকদের প্রার্থীও ঠিক করা হতে পারে।

জানা গেছে, যে কোনো কঠিন মুহূর্তে জিততে পারে এমন প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ১৪ দলসহ মহাজোট শরিকদের ক্ষেত্রেও জয়ী হতে পারে এমন প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি একাধিক অনুষ্ঠানে বলেছেন, এবারের নির্বাচন খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। তাই প্রার্থী বাছাইয়ে জনপ্রিয়তাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রার্থী বাছাইয়ে দেশি-বিদেশি ৬টি জরিপ রিপোর্ট পর্যালোচনা করা হয়েছে। এদিকে আগামীকাল জোটের আসন বণ্টন নিয়ে কোন জটিলতা হলে প্রার্থী ঘোষণা কয়েক দিন পেছাতে পারে। সেক্ষেত্রে দল ও জোটের মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা একসঙ্গে হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

সব দলের অংশগ্রহণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে কি-না, মাত্র ক’দিন আগেও এ নিয়ে নানা শঙ্কা ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপের পর সব শঙ্কা কেটে গেছে। সব রাজনৈতিক দলই এখন নির্বাচনমুখী। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মোট মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা ৪ হাজার ২৩ জন। অর্থাত্ প্রতি আসনে মনোনয়ন চেয়েছেন গড়ে ১৩ জন।

আসন বণ্টন নিয়ে জটিলতা:বিকল্পধারার সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিকল্পধারা প্রথমে ১০টি আসন চাইলেও সর্বশেষ ৫টি আসন চেয়েছে। আওয়ামী লীগ দুটি আসন দিতে চাইলেও তারা যে দুটি আসন চাইছেন সেখানে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক মহল মনে করেন নোয়াখালী-৪ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য একরামুল করীম চৌধুরীর এবারের নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করার সম্ভবনা বেশি। কিন্তু বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান এ আসনটি চাইছেন। তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তার জন্য কাজ তো করবেনই না বরং একরামুল করীম চৌধুরীকে মনোনয়ন বঞ্চিত করলে জেলার রাজনীতিতে।

বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। এতে আসনটি মহাজোটের হারানোর সম্ভাবনা বেশি। ঠিক একই অবস্থা মাহি বি. চৌধুরীর চাওয়া মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের ক্ষেত্রেও। এ আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বি. চৌধুরী বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন।

ইত্তেফাক/আরকেজি