বইমেলা শুধু ঢাকায় নয়, সারাদেশের মানুষের মাঝেই আলোড়ন তোলে। সারাদেশের পাঠকরা এই মেলাকে কেন্দ্র করে ঢাকায় আসেন। শুধু বই কিনতে নয় বরং এ উত্সবে অংশ নিতে। ‘এ এমন এক আবেগ যা বলে বোঝানো যাবে না’—বলছিলেন বগুড়ার ব্যবসায়ী এবাদুর রহমান। ব্যবসার কাজে ঢাকা এসেছিলেন, ফিরবার পথে চলে এসেছেন বইমেলায়।
এবাদুরের মতো সারাদেশ থেকেই আসছেন পাঠকরা। শুধু পাঠকরাই নন ঢাকার বাইরের প্রকাশক, লেখকরাও আসছেন বইমেলায়। বইমেলায় যাতে স্থান পায় সেজন্য ঢাকার বাইরে যেসব লেখক বাস করেন তারাও প্রকাশ করেন বই।
নাটোর সিটি কলেজের শিক্ষক ড. মীর মো. নূরুল ইসলাম বইমেলায় প্রকাশ করেছেন ‘চলনবিল অঞ্চলের লোকমেলা ও লোক উত্সব’ গ্রন্থটি। এটি প্রকাশ করেছে পরিলেখ প্রকাশনী। নূরুল ইসলাম জানান, বইমেলায় বের করলে এটা যদি সারাদেশের পাঠকের কাছে যায় সেজন্য প্রকাশ করেছি। বইমেলা থেকে বই বের হচ্ছে এটা মনে করলেও ভালো লাগে। সেজন্যই প্রকাশ করা।
অফিসের কাজে ঢাকায় এসেছিলেন ময়মনসিংহের এ এইচ মাহবুব। কাজ শেষ করে এসেছিলেন মেলায়। বড়ো ভাইয়ের সঙ্গে এসেছেন আনন্দমোহন কলেজের ছাত্র এহসান করিম। মেলায় এসে বিভোর এহসান। বললেন, ‘ভাই আসছে জেনে তার সঙ্গে চলে এলাম। ভাষার মাসে আর বইমেলায় যদি আসতে না পারি তবে তো পুরো বছরটাই মাটি’।
বইমেলা নিয়ে পুরো দেশে এমন আবেগই কাজ করে পাঠকদের হূদয়ে। মেলায় আসা এবং বই কেনার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন সবাই। শুরুর কয়েকটি দিন কাটিয়ে এখন বইমেলা কানায় কানায় ভরে উঠেছে।
ইত্তেফাক/বিএএফ