বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ম. শহিদুল্লাহ’র প্রথম উপন্যাস ‘কামিনী বিলাস’

আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২৩:২৭

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০-এ পাওয়া যাচ্ছে তরুণ উপন্যাসিক ম. শহিদুল্লাহ’র প্রথম উপন্যাস ‘কামিনী বিলাস’। বইটি প্রকাশ করেছে নালন্দা প্রকাশনী। বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ। বইটি গ্রন্থমেলার ২৬ নং প্যাভিলিয়নে নালন্দা প্রকাশনীর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও রকমারি.কম ও অথবা.কম’র মাধ্যমে দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে বইটি সংগ্রহ করা যাবে। বইটির প্রচ্ছদ মূল্য ২ শত ২৫ টাকা। 

 

উপন্যাসটিতে প্রেম, ভালোবাসা, সমাজ বাস্তবতা, বিরহের কলতান ও অভাবের সুর এক সুতায় বাধা পড়েছে। উঠে এসেছে একটি জীবন উপাখ্যান। উপন্যাসটিতে সমাজিক এবং পারিবারিক বন্ধন ও বাস্তবতার এক অকৃত্রিম স্পর্শ পাবেন পাঠকরা। শহুরে জীবনের ভাবধারার এ উপন্যাসটিতে চারটি মৃত্যুর নির্মোহ বর্ণনা রয়েছে। শেষ প্রান্তে এসে আরও একটি মৃত্যু যেন কড়া নাড়ছে। 

 

বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে লেখকের মেজ ভাই সেফাতুল্লাহ’কে। উৎসর্গে লেখা আছে, ‘আমার মেজভাই সেফাতুল্লাহ, ছোটবেলায় আমরা যখন ঠিক মতো পড়ালেখা করতাম না, তিনি তখন আমাদের মারতেন। আমরা ভীষণ কাঁদতাম। কিছুক্ষণ পর আমাদের কান্না ঠিক থেমে যেত কিন্তু তিনি লুকিয়ে লুকিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে কাঁদতেন।’

 

বইটির ফ্লাপে লেখা আছে, ‘দিবা আমাকে দেখতে জেলখানায় আসে। চোখ মুছে কাঁদে। আমাকে জিজ্ঞাসা করে, “কেমন আছেন?” আমি কোন উত্তর দেই না, কিছুক্ষণ আমরা দু’জন চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকি। নীরবতা ভেঙে দিবা হঠাৎ করে আমায় আবার জিজ্ঞাসা করে “এখানে আপনার কষ্ট হয় না?” আমি হাসি মুখে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করি, জেলখানার মতো কষ্ট হয়, বাইরের পৃথিবীর মতো কষ্ট হয় না। মেয়েটির কান্না আরো তীব্র হয় ও কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে সেই ভেজা চোখ নিয়ে চলে যায়। আমি পিছন ফিরে দাঁড়াই। অনুভব করি আমারও চোখের পানি গাল বেয়ে মুখ পর্যন্ত নেমে এসেছে।’

 

ম. শহিদুল্লাহ্’র জন্ম ১৯৮৯ সালে, পিরোজপুরে। বাবা সিরাজুল হক, পেশায় শিক্ষক ছিলেন। মা মোমেনা বেগম গৃহীনি। সাত ভাইয়ের মধ্যে লেখক ষষ্ঠ। তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে নদীঘেরা এ ছোট্ট মফস্বল পিরোজপুরেই। সেখানেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা জীবনের সমাপ্তি। ছেলেবেলা থেকেই পড়তে ভালোলাগা তারপর লিখতে শুরু। এর আগে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক ও অনলাইনে ম. শহিদুল্লাহ্’র লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে। পাঠকের ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণায় বই প্রকাশে আগ্রহী হন তিনি। 

 

ইত্তেফাক/এএম