শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বইমেলায় নিভৃতে কাঁদছে লিটলম্যাগ চত্বর, স্টল বন্ধ রেখেছেন সম্পাদকরা

আপডেট : ২২ মার্চ ২০২১, ১৭:৫০

অমর একুশে বইমেলা ধীরে ধীরে জমে উঠতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে পাঠক-লেখক-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গণ। বাড়ছে বই বিকিকিনিও। করোনাকালীন এবারের মেলার পরিসর ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আগত দর্শনার্থীরা।

এরই মধ্যে মেলার সবগুলো চত্বর জমে উঠলেও নীরবে-নিভৃতে কাঁদছে লিটলম্যাগ চত্বর। লেখক তৈরির এ প্ল্যাটফর্ম যেন বাংলা একাডেমির অবহেলার শিকার। মেলার অন্যান্য দিক যতই আধুনিকায়ন হচ্ছে দিন দিন লিটলম্যাগ কর্নার ততই পিছিয়ে পড়ছে। তবে এবার লিটলম্যাগ চত্বরকে মূল মেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন লিটলম্যাগ প্রকাশক ও সম্পাদকেরা। গত বছরের জায়গায় লিটলম্যাগ পুনস্থাপনের দাবিতে লিটলম্যাগ চত্বরের সকল স্টল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন তারা।

গত মেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে লিটলম্যাগ চত্বর থাকলেও এবার কোনো কারণ ছাড়াই উদ্যানের পূর্বদিকে লেখক বলছি মঞ্চের পেছনে এই চত্বরটি রাখা হয়েছে। এবারের লিটলম্যাগ কর্নারে মেলা কর্তৃপক্ষ বরাদ্দ দিয়েছে প্রায় ১৩৫টি স্টল। যার ফলে খোলামেলা লিটলম্যাগ হয়ে ওঠে অন্ধকারাচ্ছন্ন গিঞ্জি মাছের বাজারের মতো। এ নিয়ে লিটলম্যাগ কর্মীদের হতাশা এবং ক্ষোভের শেষ নেই।

লিটলম্যাগ ‘শালুক’ সম্পাদক ওবায়েদ আকাশ বলেন, বাংলা একাডেমি এবারের মেলা সজ্জার পরিকল্পনায় প্রায় পুরোটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিয়ে নিয়েছে; অথচ লিটল ম্যাগাজিন চত্বরকে আরো ছোট করেছে, ঘিঞ্জি করেছে, মাছবাজার বা সবজি বাজারের মতো ছোট ছোট খুপড়ি করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পথ দেখিয়েছে। অনেকটা কবরস্থানও বলা চলে। এবং চত্বরটাকে মেলা থেকে পুরোটা বিচ্ছিন্ন করেছে। মূল মেলার দিকে পিছন দিয়ে প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করে দিয়েছে। যেন সতীনের সঙ্গে সংসার। মেলার সব শেষে কালিমন্দিরের পিছনে যে “লেখক বলছি” মঞ্চ, সেই মঞ্চেরও পিছনে নিয়ে এই চত্বরটি বসানো হয়েছে। এর সুষ্ঠু সমাধান জরুরি। 

লিটলম্যাগ ‘লোক’-এর সম্পাদক অনিকেত শামীম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি, এসব সমস্যার সমাধানের জন্য। এবারও মেলার আগে সম্পাদকদের সঙ্গে বসেনি বাংলা একাডেমি। লিটলম্যাগের স্থান গতবছরের জায়গায় (খাবারের হোটেল তুলে দিয়ে) পুনঃস্থাপন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের স্টল বন্ধ রাখবো।

‘হালখাতা’ সম্পাদক শওকত হোসেন বলেন, সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনা না করে গতবছরের জায়গা থেকে সরিয়ে একেবারে জনবিচ্ছিন্ন জায়গায় যে এটা দিয়েছে, সেটা তারা শুধু ভুলই করেনি, অপরাধ করেছে। আমরা এর প্রতিকার চাচ্ছি।

এ বিষয়ে বইমেলা পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসচিব ড. জালাল আহমেদ জানান, লিটলম্যাগ সম্পাদক ও প্রকাশকদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাদের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়েই সমাধানের চেষ্টা চলছে।

ইত্তেফাক/এসজেড