শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গণপরিবহন চালু হওয়ায় মেলাও প্রাণবন্ত

আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৪৪

গণপরিবহন চালুর প্রভাব পড়েছে বইমেলায়। বেড়েছে বিক্রি, পাঠকের আনাগোনা। বেঞ্চে, খোলা মাঠে বসে মেলায় আসা মানুষের আড্ডা বেশ প্রাণবন্ত করে তুলেছিল বইমেলাকে। দুই দিনের ফাঁকা মেলা কালকে যেন কিছুটা প্রাণ ফিরে পায়।

এদিকে গত দুটি দিন মনমরা হয়ে বসা থাকা অনেক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বিক্রি বাড়ায় খুশি। অবসরের বিক্রয় ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা জানালেন, বিক্রি দুই দিন ধরে বেড়েছে। অনেকেই লিস্ট ধরে এসে বই কিনছেন। প্রতি বছর মেলা শেষের দিকে গড়ালে এভাবে বিক্রি বাড়ে। এবার সেটা কম হলেও শুরু হয়েছে। এটাই আশা জাগাচ্ছে। সামনের সপ্তাহের দুটি ছুটির দিনে আশা করছি মেলা জমে উঠবে। ঐতিহ্য প্রকাশনীর বিক্রয় ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন কাজল বললেন, ‘বিক্রি খুব খারাপ না। গণপরিবহন চালু হওয়ার প্রভাব পড়েছে মেলায়। ফলে আমাদের বিক্রিও বাড়ছে।’

অধ্যাপক আনিসুজ্জামান স্যারকে নিয়ে তার স্ত্রী সিদ্দিকা জামানের লেখা বই প্রকাশ করেছে অন্যপ্রকাশ, যেখানে তার কথায় পাঠক দেখতে পাবেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে। বইটি মেলার শেষ বেলায় প্রকাশ পেলেও পাঠকের আগ্রহ কুড়িয়েছে।

‘বইমেলার দুরবস্থার জন্য করোনার সংক্রমণই দায়ী’

বিকেলে বইমেলার মাঠে আড্ডায় মেতে ওঠেন প্রকাশকেরা। সময় প্রকাশনীর ফরিদ আহমেদ, পলল প্রকাশনীর খান মাহবুব, কাকলী প্রকাশনীর এ কে নাছির আহমেদ সেলিম, তাম্রলিপির এ কে তরিকুল ইসলাম রনি, অনন্যার মনিরুল হক। তাদের আলোচনায় উঠে এলো, বইমেলার অচলাবস্থার জন্য সরকার, বাংলা একাডেমি কেউই দায়ী নয়। সমস্যার একমাত্র কারণ করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া। জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমদ বললেন, করোনা আতঙ্কের কারণে বইমেলায় পাঠক-ক্রেতা কম আসবেন, বিক্রি কম হবে—এসব আমরা সবাই জানতাম। মেলা যদি সন্ধ্যায় খোলা রাখা যেত, তাহলে সমস্যা এতটা প্রকট হতো না।

ছবি: ফোকাস বাংলা

ছুটির দিনে মেলা জমে ওঠার প্রত্যাশা প্রকাশকদের

আপাতত শুক্রবারের অপেক্ষার প্রহর গুনছেন প্রকাশকেরা। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ইন্তামিনের কর্ণধার এ এস এম ইউনুছ বলেন, ‘শুক্রবারের আগে মেলা আর জমবে না। আমরা এখন শুক্রবারের অপেক্ষাতেই আছি।’

নতুন বই :বুধবার অমর একুশে বইমেলার ২১তম দিনে নতুন বই এসেছে ৬৯টি। এর মধ্যে গল্প-৮, উপন্যাস-১১, প্রবন্ধ-৩, কবিতা-২৮, গবেষণা-২, ছড়া-৪, জীবনী-৩, মুক্তিযুদ্ধ-২, ভ্রমণ-১, ইতিহাস-২, বঙ্গবন্ধু-১, অন্যান্য-২টি বই। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বই হচ্ছে—পাঞ্জেরী এনেছে পলাশ মাহবুবের ‘ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ’, অন্যপ্রকাশ এনেছে শিহাব শাহরিয়ারের ‘নিঃসঙ্গ নদী ছায়া’, বাংলানামা এনেছে আশরাফুল ইসলামের ‘ছায়া ফেলে গেলে’, দাঁড়িকমা এনেছে মাহিন খানের ‘প্রতিবাদ’, জিনিয়াস এনেছে আবদুল মান্নান সরকারের ‘জনক’ (২য়খণ্ড), ড. আহমদ আব্দুল্লাহর ‘ঢাকার মুসলিম ঐতিহ্য’, ক্রিয়েটিভ এনেছে সন্দীপন ধরের ‘ভয়’, পুথিনিলয় এনেছে বুলবুল চৌধুরীরর ‘বাছাই কিশোর গল্প’, বইপত্র এনেছে শামস রহমানের ‘বঙ্গবন্ধু নেতা, নেতৃত্ব ও আজকের বাংলাদেশ’, পেন্সিল এনেছে মোহাম্মদ তালুতের ‘নৈঋত’ প্রভৃতি।

ইত্তেফাক/এএএম