শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অসময়ের বইমেলা

আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২১, ০৩:৫৭

করোনা মহামারির জন্য গত এক বছর ধরেই প্রকাশকরা ঘরে বসে। বই বিক্রি নেই। প্রকাশনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য খাতের মানুষরাও কাজের অভাবে ঘরে বসে। তাই পুস্তক প্রকাশনা-সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককেই জীবন নির্বাহ করতে হয়েছে খুবই কষ্টের মধ্য দিয়েই। 

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে এবারের মেলাটা হোক—এ প্রত্যাশা আমাদের সবারই ছিল। তবে মেলার পরিণতি এতটা খারাপ হবে, আমরা কেউ কল্পনা করিনি। তাই ২০২১ সালের অমর একুশে বইমেলাকে বলা যায়, অসময়ের বইমেলা। সেই সঙ্গে বারবার সময় পরিবর্তনের কারণে পাঠকশূন্য বইমেলাই বলা চলে। মেলার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে লেখক, পাঠক ও প্রকাশকের মিলনমেলা। যদিও করোনা পরিস্থিতির কারণে পাঠক এমনকি লেখকগণও মেলায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। আর ক্ষতির পরিমাণ না-ই বা বললাম। স্টলের নির্মাণ খরচ এবং যারা মেলায় বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কাজ করেছেন তাদের ব্যয়ভার বহন করাই কষ্টসাধ্য হয়েই দাঁড়িয়েছে।

মেলার এই ক্ষতি শুধু প্রকাশকদের ক্ষতি হিসেবে দেখলে হবে না। সৃজনশীল সাহিত্যের ধারাবাহিকতা থেমে যাওয়ার প্রয়াস হিসেবে দেখে, সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের কাছে কোনো ক্ষতিপূরণ চাওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য নয়। আমরা চাই সরকারের বই কেনার অনেক প্রকল্প রয়েছে সেগুলো আবার নতুন করে চালু করা হোক। গ্রন্থকেন্দ্র ও পাবলিক লাইব্রেরিতে বই কেনার বরাদ্দ বৃদ্ধি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন প্রকল্পে সৃজনশীল বই কেনার প্রক্রিয়া চালু করলেই প্রকাশকদের এই ক্ষতি কিছুটা হলেও পূরণ হবে।

লেখক: প্রকাশক, অন্বেষা প্রকাশন

ইত্তেফাক/এসজেড