শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মিজান-রাজীবের বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা

আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:০৯

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ও তারেকুজ্জামান রাজীবের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা দুইটি দায়ের করা হয়। 

৩০ কোটি ১৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা মূল্যের জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের  অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর (৩২ নং ওয়ার্ড) হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা দায়ের করে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিবরণ থেকে জানা যায়, অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহারর্পূবক বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে স্থাবর ও অস্থাবর সর্বমোট ৩০ কোটি ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩১ টাকার অবৈধ সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে অর্জন করে তা নিজ ভোগ দখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

এর আগে, গত ১১ অক্টোবর (শুক্রবার) ভোরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থেকে কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজানকে আটক করে র‌্যাব। র‌্যাব সদর দফতর থেকে জানানো হয়, চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে তাকে আটক করা হয়েছে। তিনি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন বলেও জানিয়েছে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে ক্যাসিনোকাণ্ডে যুক্ত থাকারও প্রমাণ আছে বলে জানা গেছে।

আটকের পরপরই তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে শ্রীমঙ্গলে একটি অস্ত্র মামলা ও অন্যটি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলা। পরে এই দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে।

অন্যদিকে, ২৬ কোটি ১৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের  অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর (৩৩ নং ওয়ার্ড) তারেকুজ্জামান রাজীব এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে এই মামলা করেন।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিবরণ থেকে আনা যায়, অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে সর্বমাট ২৬ কোটি ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯০৫ টাকার অবৈধ সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে নিজের নামে এবং বেনামে অর্জন করে তা নিজ ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বিধায় তার বিরুদ্ধে বর্ণিত ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের পর গা ঢাকা দেন উত্তর সিটি করপোরেশনের আরেক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব। তার বিরুদ্ধে নামে-বেনামে রাজধানীতে তার বেশ কয়েকটি ফ্লাট ও গাড়ি রয়েছে। জমি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।

পরে ১৯ অক্টোবর চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক বন্ধুর বাসা থেকে ঢাকা উত্তরের ৩৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি