সম্প্রতি ক্যাসিনোকাণ্ডের পর সন্দেহভাজনদের আয় ও ব্যাংক লেনদেনের তথ্য অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরই মধ্যে ৫০ জনের বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য যাচাই করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। এসব তথ্য যাচাইকালে লেনদেনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া।
গতকাল রাজস্ব ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাদের ব্যাংক হিসাবের নথি পরীক্ষা করা হয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এটি আমাদের জন্য উত্সাহব্যঞ্জক। কেননা, এর মাধ্যমে বড়ো অঙ্কের আয়কর পাওয়া যাবে। তবে বিদ্যমান আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের বিধি-নিষেধ স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এসব তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করতে পারি না। এ ধরনের অনেকের কাছ থেকেই কর আদায় করা হয়। কিন্তু তা আইনগতভাবে প্রকাশ করা যায় না।’
সম্প্রতি ক্যাসিনো জুয়ার সঙ্গে জড়িত অনেককে গ্রেফতার করা হয়। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক রাজনীতিবিদের নাম চলে আসে। অনিয়মের ডালপালা খুঁজতে গিয়ে নাম আসে কিছু সরকারি কর্মকর্তারও। এর পর বিভিন্ন সময়ে সিআইসি এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এসব ব্যক্তি, তাদের পরিবারের সদস্য ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ নেয়। এরই মধ্যে একাধিক সংসদ সদস্যসহ বেশ কয়েক জনের ব্যাংক লেনদেন আটকে দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আয়কর প্রদানের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে প্রসঙ্গক্রমে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, দেশের আলো-বাতাস খেয়ে বেঁচে আছি—সেজন্যও কর দিতে হবে। কর প্রদান না করলে আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবেন।
ইত্তেফাক/এসি