শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বাস চালকের ফাঁসি চায় দিয়ার পরিবার

আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:৫০

দুই বাসের রেষারেষির মধ্যে চাপা পড়ে রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় যাবজ্জীবনের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে নিহত ছাত্রী দিয়া আক্তার মিমের পরিবার। আদালতের যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত জাবালে নূরের চালক মাসুম বিল্লাহর ফাঁসির চেয়ে উচ্চ আদালতে যেতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রতি তারা দাবি জানিয়েছে।

 

রবিবার বিকালে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইমরুল কায়েশ ওই দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দুই বাসের চালক ও এক সহকারীকে যাবজ্জীবনের রায় দেন।

 

রায় ঘোষণার পর দিয়ার মামা সেলিম হোসেন বলেন,  চালকের ফাঁসি হওয়া উচিত। তিনি লাইসেন্স ছাড়া চালক। লাইসেন্স নাই গাড়ির, গাড়ির অন্য কাগজপত্রও নাই। সে কারণে তার ফাঁসি দেওয়া উচিত। সরকার পক্ষের ফাঁসির আবেদন করা উচিত।

 

দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন মেয়ের মৃত্যুর আগে বাস চালালেও মেয়েকে হারিয়ে আর বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তিনি এখনও সে সিদ্ধান্তেই অটল আছেন বলে জানান সেলিম।

 

দিয়ার মামা মনে বলেন, ‘বাস মালিকরা  অপ্রাপ্তবয়স্কদের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেওয়াতেই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। গাড়ির মালিকরা ১০ বছর, ১৩ বছরের পোলাপাইনের হাতে গাড়ি দিয়া দেয়। এরম করে বহুত মার কোল খালি হইসে। এ কারণে রোডে বেশি দুর্ঘটনা হয়।’

 

দিয়া-রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ে করা মামলার ৬ আসামির মধ্যে জাবালে নূর পরিবহনের দুই চালক মাসুম বিল্লাহ, জুবায়ের সুমন এবং সহকারী কাজী আসাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের রায় দিয়েছে আদালত। তবে কাজী আসাদ এখনও পলাতক। তবে জাবালে নূর বাসের মালিক জাহাঙ্গীর আলম, জাবালে নূর বাসের আরেক সহকারী এনায়েত হোসেনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

আরো পড়ুন : সুখী-সমৃদ্ধ দেশ প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করছেন শেখ হাসিনা : কৃষিমন্ত্রী

জাবালে নূর পরিবহনের আরেক মালিক শাহাদাত হোসেন জামিনে রয়েছেন। তার পক্ষে মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।

 

আসামি মাসুমের বাসটি গত বছরের ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে শিক্ষার্থী ও পথচারীদের উপরে উঠে গিয়েছিল। তাতে নিহত হয় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীব; আহত হয় আরও কয়েকজন। ওই বাসটির মালিক শাহাদাত।

 

ইত্তেফাক/ইউবি