বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

হাসপাতাল থেকে রিলিজ, গ্রেফতারের আশঙ্কায় ভিপি নুর

আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:৪৪

গ্রেফতারের আশঙ্কা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাড়পত্র পেয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। 

মঙ্গলবার ভিপি নুরুকে ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে হাসপাতাল ছাড়েন তিনি। তবে তাকে সেখান থেকে বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু কোথায় ভর্তি করা হয়েছে তা জানা যায়নি। 

সাংবাদিকদের নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমি পুরোপুরি সুস্থ না। আমার বামপাশের পাঁজরে এখনো ব্যথা। হাঁটতে গেলে মাথা ঘুরে। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারি না। আমার শারীরিক নানা জটিলতা এখনও আছে। হাসপাতালের ট্রিটমেন্ট নিয়ে আমি সন্দিহান।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ডাকসুর মেয়াদ আর তিন মাস বাকি। ইতোমধ্যে আমার নামে আইসিটি অ্যাক্টে মামলা করা হয়েছে। আমাকে যাতে অ্যারেস্ট করা হয়, আমি যাতে জামিন না পাই, সেজন্য তড়িঘড়ি করে আমাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে।’

ভিপি নুর বলেন, ‘ঘটনার দিন লাইট বন্ধ করে আমাদের মারধর করে ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত ও সেক্রেটারি সাদ্দাম। তারা আমার ভাই আমিনুরকে পিস্তলের বাঁট দিয়ে মেরে তিনতলা থেকে ফেলে দেয়। সরকারের দুঃশাসন ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রম নিয়ে কথা বলায় আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়।’ 

হামলার ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিন নেতাকে গ্রেফতারের বিষয়ে নুরুল বলেন, ‘এটি আইওয়াশ।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় আহত ছাত্রদের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সুস্থ হওয়ার পরেই তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নুরের ওপর হামলা করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে তার অনুসারীদেরও পেটানো হয়। ভাঙচুর করা হয় ডাকসু ভবন। হামলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন বলে জানা যায়।

হামলার পর আহত নূরসহ ২৮ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা তুহিন ফারাবীকে ঢামেক হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পরে ফারাবীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।

ইত্তেফাক/জেডএইচ