শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভোট চাইতে সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে মেয়র প্রার্থী আতিক

আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২০, ২৩:৫৯

ভোট চাইতে সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যাচ্ছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। ৯ মাস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই প্রার্থী নিজ পরিকল্পনার পূর্ণ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বপ্নের শহর ঢাকা বিনির্মাণ করার সুযোগ চেয়ে ভোট চাইছেন সকলের কাছে।

১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন অলিগলিতে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন আতিকুল। অবশ্য শুধু ভোট চেয়েই তার জনসংযোগ শেষ হয়নি। ভোট চাইবার পাশাপাশি রাজধানীবাসীর কাছ থেকে তাদের সমস্যাগুলো শুনে নিয়েছেন এই মেয়র প্রার্থী। রবিবার কল্যাণপুর ও তার আশপাশের এলাকা গিয়েছেন জনসংযোগে। সেখানেও প্রত্যেকের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চেয়েছেন এই প্রার্থী। সোমবার ক্ষিলখেত এলাকায় জনসংযোগ করেছেন তিনি। এ সময় অত্র এলাকার সাধারণ মানুষের কষ্টগুলোর কথা শুনে মেয়র হতে পারলে তা সমাধানের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

সোমবার খিলক্ষেত রেলগেট এলাকা থেকে শুরু করে লেকসিটি, কনকর্ড, কুড়িল, যমুনা ফিউচার পার্ক, ভাটারা, ডুমনি, তলনা, প্যাতিরা, আশকোনা এলাকার প্রান্তিক স্থানগুলোতে গিয়ে মানুষের কথা শুনেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিক। এ সময় তিনি আরো একবার জবাবদিহিতামূলক সিটি করপোরেশন গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সরস্বতী পূজার জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই। তারা দেরিতে হলেও সরস্বতী পূজার বিষয়টিকে আমলে নিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছে।’

 

এর আগে রোববার কল্যাণপুর এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালান আতিকুল ইসলাম। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচিত হলে নারীবান্ধব ঢাকা শহর গড়ে তুলব। এছাড়া মেয়র ও কাউন্সিলরদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমি ৯ মাস সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পালন করেছি। ঢাকাকে একটি ডিজিটাল সিটি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অনেক কিছু করেছি। তবে ৯ মাসের কাজে অনেক কিছুই দৃশ্যমান হয় না। আর তাই অনেক কাজ দেখাতে পারিনি। এই ৯ মাসের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল কমান্ড সেন্টার গড়ে তোলা। যেটি এরই মধ্যে গড়ে তুলেছি।’ তিনি বলেন, ‘নিরাপদ, পরিষ্কার ও আলোকিত ঢাকা গড়তে এরই মধ্যে আমরা কমান্ড সেন্টারের কাজ শুরু করেছি। আগামী এক বছরের মধ্যে সব কিছুই কমান্ডার সেন্টারের অধীনে চলে আসবে। এছাড়াও আলোকিত ঢাকা নির্মাণে ৪২ হাজার লাইট লাগানো হবে। এই লাইটের কন্ট্রোল প্যানেলও কমান্ড সেন্টারের আওতায় চলে আসবে। ঢাকার কোথায় ময়লা পড়ে রয়েছে, পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কোথা থেকে ময়লা নেয়নি, কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে সব খবর চলে আসবে ডিএনসিসির কাছে।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘যদি নির্বাচিত হই তবে আমি ও আমার কাউন্সিলররা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করব। আমরা প্রত্যেক মাসে বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে জবাবদিহিতামূলক টাউন হল মিটিং করব এবং জনগণের কাছে জবাবদিহিতার মুখোমুখি হব। নির্বাচিত হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও নৌকার কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড লাগে না। নৌকার ব্যাকগ্রাউন্ড ও গিয়ার একটিই—সেটা হচ্ছে উন্নয়নের গিয়ার, নৌকার জোয়ার। নৌকায় যদি ভোট দেন তাহলে অবশ্যই নৌকা দেবে উন্নয়ন, নৌকা দেবে শান্তি, নৌকা দেবে শৃঙ্খলা।’

 

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরাসরি কেউ যদি ট্যাক্স দিতে যায়, তাহলে অসাধু কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে নেগোসিয়েশন হয়। এই ফ্ল্যাটের ট্যাক্স এত ঐ ফ্ল্যাটের ট্যাক্স এত টাকা। এগুলো চলবে না। চলতে দেওয়া হবে না। অনলাইনের মাধ্যমে সবাই বাড়ির ট্যাক্স দেবেন। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে আর যেতে হবে না। এ ধরনের কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে এ বন্দোবস্ত করা হবে।’

ইত্তেফাক/আরএ