রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় এক গৃহকর্মীসহ তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনরা লাশ নিয়ে যান।
মৃতরা হচ্ছেন, গুলশানে গৃহকর্মী স্বর্ণা (১৬), ভাটারায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী জুলেখা আক্তার জুলি (১৫)ও সবুজবাগে নির্মাণ শ্রমিক ফিরোজ কবির (১৯)।
গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মামুন মিয়া বলেন, গুলশানে ৪৮ নম্বর রোডের, ১৮/বি, বাড়ির জনাব রেজাউল করিম খান এর বাসার সার্ভেন্ট রুম থেকে দরজা ভেঙে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই বাসার গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে, ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন : "ইভিএম মেশিন ছিনতাই হলেও সমস্যা নেই"
ওই বাসার লোকজনের বরাদ দিয়ে তিনি আরও জানান, মেয়েটি ঐ বাসায় দীর্ঘ দিন ধরে গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করতো। ওই দিন দুপুরের পর পর অন্য কাজের বুয়া শেফালী ও কমলা সার্ভেন্ট রুমে দরজা বন্ধ পায়, ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে মালিককে জানান, মালিক বিষয়টি পুলিশকে জানালে, পুলিশ মেয়েটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছুই বলতে পারেনি। সে কিশোরগঞ্জ সদর থানার বত্রিশ গ্রামের ফাইজুলের মেয়ে। মা খোরশেদা বেগম।
এদিকে, একই দিন (মঙ্গলবার) দুপুরে ভাটারা বোর্ডঘাট এলাকার মজিবরের টিনসেট বাসায় ভাড়াটিয়ার কক্ষ থেকে জুলেখা আক্তার জুলি (১৫) নামে এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেন ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ নুর ইসলাম সিকদার।
মৃতের পরিবারের বরাদ দিয়ে তিনি জানান, মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা আব্দুল জলিল সিএনজি অটোরিকশা চালক। তার মা মর্জিনা বেগম গার্মেন্টস কর্মী। ঘটনার দিন সকালে মৃতের বাবা, মা, বোন সকলেই সকাল সাতটায় কাজে চলে যায়। দুপুরে বাবা বাসায় এসে দেখতে পান দরজা খোলা চাপানো অবস্থা। রুমে প্রবেশ করে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে পুলিশকে সংবাদ দেন।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। মৃতের গ্রামের বাড়ী গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার ঘোরাইদ গ্রামে।
এছাড়া বুধবার সকালে রাজধানীর সবুজবাগ থানার মধ্য বাসাবো এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে ফ্যানের হুকের সাথে রশি দ্বারা ঝুলন্ত নির্মাণ শ্রমিক (রড-মিস্ত্রি) ফিরোজ কবির (১৯) এর মরদেহ উদ্ধার করেন সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশিদ।
তিনি বলেন ওই নির্মাণাধীন ভবনে রড মিস্ত্রি হিসাবে কাজ করতো ফিরোজ। এবং সেখানেই থাকতো। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে যে কোন সময় সকলের অগোচরে গলায় ফাস দেয়। কি কারণে, কেন, এ ঘটনা তা জানা যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।ফিরোজ গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার বনারপাড়া গ্রামের মোঃ ইনছার আলীর ছেলে।
ইত্তেফাক/এমআরএম