বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

যা আছে আতিকুলের নির্বাচনী ইশতেহারে

আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:৫৯

‘সবাই মিলে সবার ঢাকা, সুস্থ, সচল, আধুনিক ঢাকা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। রবিবার সকালে গুলশানের লেক শোর হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ ইশতেহার ঘোষণা করেন। 

সচল ঢাকা: 

১. ফুটপাত দখলমুক্ত করে এলাকাভিত্তিক পথচারীবান্ধব ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের জন্য ফুটপাত নেটওয়ার্ক তৈরি করা।

২. যানজট নিরসনে DMP, DTCA, BRTA, DSCC, পরিবহন মালিক সমিতিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা।

৩. নিরাপদ পথচারী পারাপারের জন্য ঢাকা উত্তরে বিভিন্ন জেব্রা ক্রসিং-এ Digital Push Button Signal স্থাপন করা।

৪. আধুনিক নগর-পরিবহন ব্যবস্থার জন্য ডিজিটাল e-ticketing সেবা প্রদান, আপ নির্ভর সময়সূচি প্রবর্তন ও নারীবান্ধব গণপরিবহণ নিশ্চিতকরণ। 

৫. স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তন।

৬. বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন নাগরিকদের জন্য গণস্থাপনা এবং গণপরিবহন নিশ্চিতকরণ।

৭. নগরীর ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং কমপ্লেক্স নির্মাণ। 

৮. হকারদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

৯. প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের অসমাপ্ত পরিকল্পনা—ঢাকা বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশনের কাজ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সবাইকে নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন করা।

১০. নিরাপদ সড়কে বাস্তবায়নে প্রয়োজন অনুযায়ী এস্কেলেটর ও ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ।

১১. সাইকেলের জন্য আলাদা লেন (যেখানে সম্ভব) এবং সাইকেল পার্কিং তৈরি করা।

১২. নাগরিকদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য পরিকল্পিত স্মার্ট বাস স্টপ ও বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ।

১৩. প্রতিটি মহল্লার ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন এবং সেন্সরের মাধ্যমে জলাবদ্ধতার স্থান ট্র্যাক করে সমাধান করা।

সুস্থ ঢাকা: 

১. উন্নত বিশ্বের মতো IVM (Integrated Vector Management) aforo DNCC, DSCC WASA, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পার্শ্ববর্তী সিটি কারপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে বছরব্যাপী মশা নিধন কার্যক্রম বাস্তবায়ন।

২. টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমিনবাজারে RRF (Resource Recovery Facilities) স্থাপনের মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণ ও জ্বালানি শক্তিতে রূপান্তর।

৩. তারুণ্যকে অনুপ্রাণিত করতে এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়াতে শহরের সকল ওয়ার্ডে নিয়মিত পাড়া উৎসব উদযাপন।

৪. বস্তিবাসীদের জন্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ।

৫. প্রতিটি এলাকার জলাশয় দখলমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন করে নাগরিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া।

৬. DNCC এর বর্ধিত এলাকায় নারীবান্ধব CRHCC (Comprehensive Reproductive Health Care Center) 49 PHCC (Primary Health Care Center) নির্মাণ।

৭. মিরপুরে DNCC এর নিজস্ব জায়গায় বৃক্ষ ক্লিনিক ও পোষ্যপ্রাণী ক্লিনিক নির্মাণ।

৮. সবার জন্য নানা সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন এলাকাভিত্তিক দৃষ্টিনন্দন উন্মুক্ত পার্ক ও আধুনিক খেলার মাঠ নির্মাণ।

৯. নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আধুনিক পশু জবাই কেন্দ্র স্থাপন।

১০. DNCC-এবং প্রতিটি স্থাপনায় মাতৃদুগ্ধ কক্ষ নির্মাণ।

১১. বিশেষভাবে সক্ষম এবং নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে সবার জন্য পর্যাপ্ত আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ।

১২. ঢাকা উত্তরের উন্নয়ন প্রকল্পসহ বিভিন্ন জায়গায় Mist blower এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যম বায়ুদূষণ কমানো।

১৩. DNCC-এর প্রতিটি ওয়ার্ডে নানাবিধ সুবিধাসম্বলিত ওয়ার্ড কমপ্লেক্স তৈরি করা।

আধুনিক ঢাকা: 

১. সবার ঢাকা App এর মাধ্যমে নাগরিকের অভিযোগ গ্রহণ ও সার্বক্ষণিক তদারকিসহ সব নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত, যেখানে মেয়রের সঙ্গে নাগরিকদের সরাসরি যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকবে।

২. ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইন হোল্ডিং ট্যাক্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য নাগরিক সেবা প্রদান।

৩.  ব্যবসায়ীদের কোনো প্রকার অসুবিধা না করে ডিএনসিসি মালিকানাধীন কাঁচাবাজার ও মার্কেটগুলোর আধুনিকায়নের জন্য চলবে স্ট্রাকচারাল আপগ্রেডেশন।

৪. একটি সার্বক্ষণিক Digital Command Center তৈরি; যার মাধ্যমে শহরের নিরাপত্তা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, Smart Neighbourhood পরিচালনা ইত্যাদি সম্পন্ন হবে। 

৫. নগরের উন্নয়নে পরিকল্পনাবিদসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ।

৬. সকল লেক-খালের সংস্কার উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন, মশা নিয়ন্ত্রণ, পাবলিক স্পেস বৃদ্ধি, টেকসই পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ। 

৭. বায়ুদূষণ রোধে ইলেকট্রিক বাস সার্ভিস চালুকরণ।

৮.  ব্যবসায়ী সমাজের ভোগান্তি কমাতে ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হেল্প ডেস্ক তৈরি। 

৯. উত্তর ঢাকাকে একটি স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে Smart Neighbourhood ono stis তৈরি। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি পাড়া-মহল্লাকে এই উদ্যোগের আওতায় আনা।

১০. তরুণ্যকে অনুপ্রাণিত করতে প্রতিটি এলাকায় সাংস্কৃতিক ও সেবাকেন্দ্র গঠন; যেখানে থাকবে হেল্প-ডেস্ক, ট্রেনিং সেন্টার, স্টার্ট-আপ কো-ওয়ার্কিং স্পেস, লাইব্রেরি, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও অন্যান্য সুবিধাদি।

১১.  প্রতিটি এলাকার কমিউনিটি সেন্টারগুলো আধুনিকায়ন। 

১২. জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ‘জনতার মুখোমুখি মেয়র’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা।

ইত্তেফাক/জেডএইচ