নিখোঁজের দেড় বছর পর রাজধানীর পল্লবীর ডিওএইচএস এলাকায় নিজ বাসায় ফিরেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ৭-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল হাসিনুর রহমান। শনিবার পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মাবুদ এই তথ্য জানান।
আব্দুল মাবুদ বলেন, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে শামীমা আক্তার নামে একজন নারী ফোন করে বলেন যে, তার স্বামীর নাম লে. কর্নেল (চাকরিচূত) হাসিনুর রহমান যাকে ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার ১১ নম্বর রোডের ৭৯২ নম্বর বাড়ির সামনে থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ধরে নিয়ে যায়। তার বাড়ি ডিওএইচএস এলাকার ৪ নম্বর এভিনিউয়ের ১০ নম্বর রোডের ৬৫৯ নম্বর প্লটে। ওই ঘটনায় তিনি পল্লবী থানায় নিখোঁজের জিডি করেছিলেন। জিডি নম্বর-৬৪২। তার স্বামী ফিরে আসায় জিডিটি তারা প্রত্যাহার করতে চান। ’
তিনি আরো বলেন, একজন নিখোঁজ ব্যক্তি ফিরে আসার ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির বক্তব্য প্রয়োজন। এ জন্য পুলিশের একটি টিম শনিবার সকালে হাসিনুরের বাসায় গিয়েছিল। কিন্তু বাসা থেকে বলা হয়েছে হাসিনুর বাসায় নেই। হাসিনুর সুস্থ আছেন বলে তারা জানিয়েছেন। তবে তার চিকিৎসার প্রয়োজন বলে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেছেন। পরে তাদেরকে যে কোন সময় পল্লবী থানায় আসতে বলা হয়।
এদিকে, এ ব্যাপারে লে. কর্নেল হাসিনুর রহমানের স্ত্রী শামীমা আক্তারের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়। এর আগে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হ্যাঁ তিনি ফিরেছেন। শুক্রবার রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে কোন এক সময়ে তার বাসার কলিং বেল বেজে ওঠলে দরজা খুলে দেখেন সামনে হাসিনুর। তবে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ। তবে এতদিন তিনি কোথায় ছিলেন সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। বিশেষ করে তার মানসিক অবস্থাও ভাল না থাকায় এ বিষয়ে পুলিশ ও পরিবারের লোকজন এখনও কিছু জানতে পারেননি। পরে পুলিশকে বিস্তারিত জানানো হবে।’
আরো পড়ুন : ব্যাংকিং কমিশন হলে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে: সিপিডি
উল্লেখ্য, লে. কর্নেল হাসিনুর রহমান র্যাব-৫ ও র্যাব-৭ এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া বিজিবিতেও বেশ কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে চট্টগ্রামে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক ছিলেন। র্যাবের গোয়েন্দা শাখা তদন্ত করে তার সঙ্গে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পায়। ২০১১ সালের প্রথম দিকে তাকে র্যাব-৭ থেকে অব্যাহতি মাতৃবাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। পরে তিনি সেনাবাহিনীতে আরডকে যোগদান করেন। সেখানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় তার ৫ বছরের জেল হয়। ২০১৪ সালের শেষে দিকে তিনি জেল থেকে মুক্তি পান।
ইত্তেফাক/ইউবি