শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সম্পত্তির লোভে ছেলেকে পাগল বানানোর অভিযোগ

আপডেট : ২২ মে ২০২০, ১৭:২৮

সম্পত্তির লোভে নিজের ছেলেকে পাগল বানানোর অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। চিকিৎসক ছেলেকে মানসিক রোগী বানিয়ে মাদকাসক্ত নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে ৯ বছর ধরে আটকে রাখা হয়। সেখান থেকে মুক্তি পেয়ে শুক্রবার এই ছেলে ডা. রাফেল মো. আনোয়ারুল কবির ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে ডা. রাফেল বলেন, পারিবারিকভাবে প্রতারণা ও নির্যাতনের শিকার তিনি। তার মা ডা. লতিফা সামসুদ্দিন ও বোনদের সহযোগিতায় পরিকল্পিতভাবে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, টাকা-পয়সা ও পিতার সকল সম্পত্তি, টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করার জন্য তাকে পাগল ও নেশাগ্রস্থ সাজানো হয়েছে। এছাড়া তাকে  প্রায় ৯ বছর রিহ্যাব সেন্টারে আটকে রাখা হয়েছিল। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থার তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার মহাসচিব মো. নুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক দীলিপ কুমার পাল, যুগ্ম মহাসচিব কামরুল ইসলাম প্রমুখ।  

আরো পড়ুন : ৯০ জন যাত্রী নিয়ে পাকিস্তানে বিমান বিধ্বস্ত

সংবাদ সম্মেলনে ডা. রাফেল মো. আনোয়ারুল কবির বলেন, রিহ্যাবে থাকাবস্থায় তারা বাবা ডা. একে এম সামসুদ্দিন তখন গুরুতর অসুস্থ। ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি তার বাবা হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তখনও তিনি রিহ্যাবে বন্দী অবস্থায়। তার মা ডা. লতিফা সামসুদ্দিন বাবার সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও ব্যাংকে রেখে যাওয়া টাকা আত্মসাৎ করার জন্য মৃত সামসুদ্দিনের কন্যা দাবি করেন। তার মা বাবার বোন সাজিয়ে বাবাকে জীবিত দেখিয়ে রিহ্যাবে থাকাবস্থায় সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয় তার কাছ থেকে।

ডা. রাফেল বলেন, তার মা প্রতিনিয়ত ও বিভিন্ন লোক মারফতে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছেন। যেকোনো মুহূর্তে জীবনে মেরে ফেলতে পারে। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। প্রাণ বাঁচাতে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে থাকছেন। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। এ অবস্থায় মা ডা. লতিফা সামসুদ্দিন তার সঙ্গে যে অন্যায় আচরণ করেছেন তার প্রতিবাদ করছি। আমার বাবার সম্পত্তির অধিকার ফেরত দেওয়া হোক।  

এ বিষয়ে ডা. লতিফা সামসুদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারব না।

 

ইত্তেফাক/ইউবি