লিবিয়ায় মানবপাচারের মামলাগুলো তদন্ত করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পাচারকারীদের গুলিতে লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি মারা যাওয়ার পর সন্দেহভাজন পাচারকারী হিসেবে গ্রেফতার কামাল উদ্দিন ওরফে হাজি কামালকে (৫৫) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার তাকে আদালতে তোলা হয়।
রিমান্ড আবেদন না থাকায় তাকে জেলা হাজতে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে একটি ও মাদারীপুরে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাগুলোর তদন্তভার ইতিমধ্যে সিআইডি পাঠানো হয়েছে।
ভৈরব থানার ওসি মো. শাহীন বলেন, নিহত এক ব্যক্তির স্বজন মামলা করার পর আমরা এক আসামিকে গ্রেফতার করে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছি। পরে আসামি ও মামলার নথিপত্র সিআইডির কাছে হস্তান্তর করেছি। মাদারীপুরে দায়ের করা তিনটি মামলায় গ্রেফতার করা দুজনকেও সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানায় মামলা করেছেন নিহত সুজন মৃধার বাবা কাবুল মৃধা। এই মামলাটিও সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে।
কামালকে গ্রেফতার করা র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাজী কামালকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মানবপাচার সিন্ডিকেটের অনেকের নাম জানা গেছে। কামাল এই চক্রের হোতা। তিনি কমপক্ষে ৪০০ জনকে লিবিয়ায় পাঠিয়েছেন। টাকা নিয়ে পাচার করার পর ওই ব্যক্তিদের লিবিয়ায় জিম্মি করে বাংলাদেশে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকাও আদায় করেন কামাল। মানবপাচারের পাশাপাশি কামাল পেশায় ঠিকাদার। বহু টাইলস শ্রমিক তার সংস্পর্শে আসেন। ওই সুযোগে তিনি তাদের প্রলুব্ধ করে লিবিয়ায় পাচার করেন।
ইত্তেফাক/ইউবি