শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

লিবিয়ার ২৬ বাংলাদেশি হত্যা: ৩৮ জনের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

আপডেট : ০৩ জুন ২০২০, ০০:২৪

লিবিয়ায় মানব পাচারের ঘটনায় ৩৮ জনকে আসামি করে পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের এসআই এএইচএম রাশেদ ফজল বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। এদিকে, লিবিয়ায় সন্দেহভাজন পাচারকারী হিসেবে গ্রেফতার কামাল উদ্দিন ওরফে হাজি কামালকে (৫৫) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার তাকে আদালতে তোলা হয়। রিমান্ড আবেদন না থাকায় তাকে জেলা হাজতে পাঠানো হয়।  তার বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে একটি ও মাদারীপুরে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাগুলোর তদন্তভার ইতিমধ্যে সিআইডি পাঠানো হয়েছে।

পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন, তানজিলুর, বাচ্চু মিলিটারি, নাজমুল, জোবর আলী, জাফর (৩৫), স্বপন, মিন্টু মিয়া (৩৫), প্রোপাইটার স্কাই ভিউ ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস, হেলাল মিয়া, কামাল উদ্দিন ওরফে হাজী কামাল, আলী হোসেন, সাদ্দাম (৩৫), কামাল হোসেন (৪০), রাশিদা বেগম (৪২), নূর হোসেন শেখ (৩৫), ইমাম হোসেন শেখ (৩৫), আকবর হোসেন শেখ (৩২), বুলু বেগম (৩৮), জুলহাস সরদার (৪৫), আমির শেখ (৫৫), দিনা বেগম (২৫), নজরুল মোল্লা (৩৫),শাহাদত হোসেন, জাহিদুল শেখ (৩৫), জাকির মাতুব্বর (৬০), আমির হোসেন (৫৫), লিয়াকত শেখ ওরফে লেকু শেখ(৪৫), আব্দুর রব মোড়ল (৪০), কুদ্দুস বয়াতি, সজীব মিয়া, রেজাউল বয়াতী,  শেখ মাহবুবর রহমান, শেখ সহিদুর রহমান (৪০), হাজী শহীদ মিয়া(৬১), খবির উদ্দিন, মুন্নী আক্তার রুপসী (২০) ও বাংলা মোটরে অবস্থিত অজ্ঞাত ট্রাভেল এজেন্সীর মালিক লালন।  

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহীন বলেন, নিহত এক ব্যক্তির স্বজন মামলা করার পর আমরা এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছি। পরে আসামি ও মামলার নথিপত্র সিআইডির কাছে হস্তান্তর করেছি। মাদারীপুরে দায়ের করা তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার করা দুজনকেও সিআইডির কাছে হস্তাান্তর করা হয়েছে। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানায় মামলা করেছেন নিহত সুজন মৃধার বাবা কাবুল মৃধা। এই মামলাটিও সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে র‌্যাবের হাতে মানবপাচারকারী রফিক গ্রেফতার

কামালকে গ্রেপ্তার করা র‌্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাজী কামালকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মানবপাচার সিন্ডিকেটের অনেকের নাম জানা গেছে। কামাল এই চক্রের হোতা। তিনি তিনি অন্তত ৪০০ জনকে লিবিয়ায় পাঠিয়েছেন। টাকা নিয়ে পাচার করার পর ওই ব্যক্তিদের লিবিয়ায় জিম্মি করে বাংলাদেশে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকাও আদায় করেন কামাল। মানব পাচারের পাশাপাশি কামাল পেশায় ঠিকাদার। বহু টাইলস শ্রমিক তার সংস্পর্শে আসেন। ওই সুযোগে তিনি তাদের প্রলুব্ধ করে লিবিয়ায় পাচার করেন। 

ইত্তেফাক/এসি