রাজশাহী-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ও এনা প্রপার্টিজের মালিক ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হককে স্বামী দাবি করে গত পাঁচ দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অভিযোগ করেছেন আয়েশা আক্তার লিজা (৩০) নামের এক নারী। নিজেকে এনামুলের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে লিজা বলেছেন, এমপি তাকে তালাক দিয়েছেন বললেও তিনি তালাকের কোনো নোটিশ পাননি।
বিষয়টি সম্পর্কে এমপি এনামুল হক সোমবার ইত্তেফাককে টেলিফোনে বলেন, ‘২০১৮ সালে আমি তাকে (লিজাকে) বিয়ে করেছি। গতমাসে (এপ্রিলে) তালাক দিয়েছি। বিয়ে করা এবং তালাক দেওয়া তো কোনো অপরাধ না। এখন কিছু বলার থাকলে তিনি (লিজা) আদালতে বলতে পারেন। সেটি না করে ফেসবুক-পত্রিকা-সাংবাদিক—এগুলো করে বেড়ানোর উদ্দেশ্য কী? বুঝতে পারি—মনে করছে এসব করলে মানসম্মানের ভয়ে আমি টাকা নিয়ে হাজির হব।’ এসময় লিজার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড করাসহ কিছু ব্যক্তিগত অভিযোগও করেন এনামুল।
‘আয়েশা লিজা’ নামে ফেসবুকে আইডি রয়েছে ঐ নারীর। ২৯ মে লিজা নিজের ফেসবুকে এমপি এনামুলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি প্রকাশ করেন। ফেসবুকের কাভার ফটো ও প্রোফাইল ছবিতেও এমপির সঙ্গে তাকে দেখা যায়। সোমবার দুপুরে লিজা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এমপি সাহেবের ভক্তরা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন.. আমি গণমাধ্যমে এসেছি.. তাই আজ উনি আমাকে ডিভোর্স দিবেন.. আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব, বিচার চাইব।’
আরো পড়ুন : বাজেটে মোবাইলে কথা বলার খরচ বাড়ছে!
নিজেকে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে দাবি করা লিজা ৩১ মে ফেসবুকে লেখেন, এমপি এনামুলের সঙ্গে তার পরিচয় ও প্রেম ২০১২ সাল থেকে। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল পারিবারিকভাবে এমপির বাগমারার বাসায় তাদের বিয়ে হয়; কিন্তু এমপির পরবর্তী নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে সমস্যা হবে বলে তখন বিয়ে নিবন্ধন করা হয়নি। ২০১৮ সালের ১১ মে তাদের বিয়েটা নিবন্ধিত হয়। ফেসবুকে বিয়ে নিবন্ধনের কাগজও পোস্ট করেন লিজা।
বিয়ের আগে এমপি এনামুলের সঙ্গে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কথোপকথনের স্কীনশট তুলে ধরে ১ জুন লিজা লিখেছেন, ‘আমি যে এমপিকে ট্যাপ করে বিয়ে করিনি এই মেসেজগুলো প্রমাণ।’ ৩১ মে সন্ধ্যা ৭টা ৪১ মিনিটে ফেসবুকে লিজা লিখেছেন, ‘আমি আমার অধিকার চেয়েছি, আমি বউয়ের মর্যাদা চেয়েছি, সংসদ সদস্য আমাকে বউ হিসেবে স্বীকার করুক, মেনে নিক—আমি শুধু এটাই চেয়েছি।’ একই দিন সন্ধ্যা ৭টা ৪ মিনিটে লিজা লিখেছেন, ‘লকডাউন চলাকালীন অবস্থায় সকল কাজী অফিস এবং আদালত বন্ধ ছিল। এমপি মহোদয় আমাকে অফিস বন্ধ অবস্থায় ডিভোর্স দিলেন কীভাবে।’
ইত্তেফাক/ইউবি