বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

করোনার আতংকে দূরপাল্লার বাসে যাত্রী কমেছে 

আপডেট : ০৫ জুন ২০২০, ১৮:৪৬

সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর দূরপাল্লার বাস চললেও যাত্রী নেই বাসে। নির্ধারিত অর্ধেক আসনেও যাত্রী পরিপূর্ণ হচ্ছে না। আর যাত্রী কম থাকায় কমেছে বাসের ট্রিপ সংখ্যাও। আগে যেখানে আধা ঘণ্টার পর বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যেতো, সেখানে এখন যাত্রীর অভাবে দুই ঘণ্টায়ও একটি বাস ছেড়ে যেতে পারছে না।  

বাস সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, খুব জরুরি না হলে কোথাও যাচ্ছে না মানুষ।  রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনালে ২৫-৩০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বেশিরভাগ বাস ছেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন গন্তব্যে। বাস টার্মিনালেও যাত্রীদের আনাগোনা খুব কম।  

ঢাকা-কোম্পানিগঞ্জ রুটে চলাচলকারী তিশা পরিবহনের পরিচালক খন্দকার ওমর ফারুক বলেন, ঢাকা থেকে কোম্পানীগঞ্জ পর্যন্ত সরকারের নির্ধারিত ভাড়া ছিল ২৮৮ টাকা। সেটা থেকে একশ’ টাকা কম নিয়ে যাত্রী পরিবহন করা হতো। শুধু ঈদের সময় ভাড়া ২৫০ টাকা নেওয়া হতো। করোনার লকডাউনের পর বর্ধিত ভাড়া তো দূরে থাক-এখন ২৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এতেও যাত্রী নেই। আগে প্রতিদিন ২০ মিনিট পর একটি গাড়ি ছেড়ে দিত। এখন দেড় ঘণ্টা পরও একটি বাসে ১০ জন যাত্রী মিলছে না। যাত্রী সংকটের কারণে হয়তো বাস চালু রাখা নাও সম্ভব হতে পারে। মানুষ করোনা আতংকে খুব একটা বেশি যাতায়াত করছেন না। যাদের খুব প্রয়োজন তারাই শুধু যাতায়াত করছে। এ কারণে দূরপাল্লার বাসে যাত্রী একেবারে কমে গেছে।  

এনা পরিবহনের একজন চালক জানিয়েছেন, যাত্রী তো একেবারেই কম। এমনিতেই অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার বাধ্যবাধকতা। এরমধ্যেও আবার যাত্রী কম। বেশিরভাগ সময়ই ২০-২৫ যাত্রী নিয়ে যেতে হয়।

আরো পড়ুন : বঙ্গবন্ধুর জীবন আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণা: মোদি


গাবতলী টার্মিনালে উত্তরাঞ্চলগামী বাসে যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। বাসের ভাড়া বাড়ায় যাত্রী কম বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। একই অবস্থা রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালেও। ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল অঞ্চলের যাত্রীরা মূলত এ বাস টার্মিনাল থেকে যাতায়াত করেন। যেখানে সবসময় যাত্রীর আনাগোনা লেগে থাকতো। এখন সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র ।  

উল্লেখ্য,গত ৩১ মে করোনাকালীন গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ৮০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করলেও তা কমিয়ে ৬০ শতাংশ করে মন্ত্রণালয়। আর ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত ১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে বাস চলাচল শুরু হয়। 

ইত্তেফাক/ইউবি