বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অনিয়মের প্রতিবাদ করায় মুগদা হাসপাতালে রোগীকে মারধর

আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২০, ১৮:৫১

রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে করোনার নমুনা দিতে আসা রোগী শাওনকে মারধর করে হাসপাতালটির এক আনসার সদস্য। নিয়ম লঙ্ঘনের প্রতিবাদ করায় ওই রোগীকে মারধর করা হয়। আর সেই ছবি তোলার কারণে হামলা করা হয় একজন ফটোসাংবাদিকের ওপর। ভেঙে ফেলা হয় তার ক্যামেরা। লাঞ্ছিত করা হয় আরেক নারী ফটোসাংবাদিককেও। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতাল চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার ফটোসাংবাদিক দৈনিক দেশ রূপান্তরের রুবেল রশীদ। আর লাঞ্ছিত করা হয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিনের ফটোসাংবাদিক জয়িতা রায়কে।

এ ব্যাপারে রুবেল রশীদ জানান, মুগদা হাসপাতালে কভিড-১৯ টেস্টের জন্য ৪০ জনকে টিকিট দেওয়া হয়। কিন্তু ৩৪ জনের পরীক্ষা করেই আনসার সদস্যরা বলেন আজ পরীক্ষা শেষ। তখন ৩৬ নম্বর  সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা শাওন হোসেন নামের এক যুবকের সঙ্গে আনসার সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আনসাররা তার গায়ে হাত তোলেন।

তিনি আরও জানান, আর ওই ঘটনার ছবি তুলতে যান বাংলাদেশ প্রতিদিনের আলোকচিত্রী জয়িতা রায়। এ সময় আনসার সদস্যরা তাকে থাপ্পড় দিতে এলে জয়িতা সরে পড়েন।

তিনি বলেন, এরপর ঘটনার ছবি তুলতে আমি এগিয়ে যাই। তখন আনসার সদস্যরা থাপ্পড় মেরে আমার ক্যামেরার ফিল্টার ভেঙ্গে ফেলে। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক মুগদা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিংবা সেখানে দায়িত্বরত আনসার কর্মকর্তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

ব্যাপারে মুগদা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কুমার সাহা বলেন, মুগদা হাসপাতালে সার্বক্ষণিক পুলিশ টিম দায়িত্ব পালন করে থাকে। মারামারি কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে আনসারদের সাথে রোগীদের কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে নাকি সাংবাদিকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে বলে ফোন এক সাংবাদিক জানিয়েছেন। আর ঘটনা শোনার পর পুলিশ হাসপাতালের সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করেছে। কিন্তু সেখানে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথেও পুলিশ কথা বলেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।

 

ওসি বলেন, তবে কেউ অভিযোগ না করলেও পুলিশ নিজ থেকে ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করে রেখেছে।  পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।


ইত্তেফাক/ইউবি