শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

এভারকেয়ার হসপিটাল দিচ্ছে সব ধরণের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেবা

আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:০৯

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সব ধরনের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্ভিস নিয়ে এলো এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা।  

এই হাসপাতালে অত্যাধুনিক সুবিধা ব্যবহার করে দক্ষ মেডিকেল স্টাফ দ্বারা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়।

বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট (বিএমটি) অটোলেগাস ও অ্যালোজেনিক এই ২ ধরনের হয়ে থাকে। বিএমটি করার ঠিক পূর্বক্ষণে রোগীর দেহে উচ্চমাত্রার কেমো বা রেডিওথেরাপি বা দু’টোই একসাথে ব্যবহার করা হয়। যার মাধ্যমে রোগীর দেহে অবশিষ্ট সব ক্যান্সার কোষ মারা যায় এবং বোন ম্যারোতে ডোনার স্টেম সেলের জন্য উপযুক্ত জায়গা তৈরি হয়।  

ডোনার স্টেম সেল রক্তের শিরার মাধ্যমে রোগীর দেহে প্রবেশ করানো হয়। তা ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে এবং রোগীকে একটি নতুন জীবন দান করে।  

এছাড়া সম্প্রতি এভারকেয়ার হাসপাতালে কেমোথেরাপির পাশাপাশি টোটাল বডি রেডিয়েশন (টিবিআই) সংযোজিত হয়।  

টিবিআই সংযোজনের মাধ্যমে হাসপাতালটি সব ধরনের বিএমটি করার সক্ষমতা অর্জন করেছে, যা সারাদেশের জন্য একটি মাইলফলক। 

চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই প্রযুক্তি একজন লিম্ফোমা রোগীর জন্য ব্যবহার করে হয়েছে। হাসপাতালটি লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা ও অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানেমিয়ার জন্য অ্যালোজেনিক বিএমটি পরিচালনা করছে।

পাশাপাশি থ্যালাসেমিয়া ও অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্যও সুযোগ সৃষ্টি করছে। ইতিমধ্যে দুইজন বিদেশি রোগীসহ ২০ জনের অধিক রোগীর চিকিৎসা সম্পন্ন করেছে বিএমটি।

২০১৫ সালে ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা (পূর্বে এ্যাপোলো হসপিটালস ঢাকা)-তে যোগ দেন। এর আগে তিনি সৌদি আরবের রিয়াদে কিং ফয়সাল স্পেশালিস্ট হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে দীর্ঘ ১০ বছর কর্মরত ছিলেন। সব ধরনের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট নিয়ে তার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

২০১৬ সালে, সীমিত রিসোর্স নিয়ে ডা. সালেহ অটোলেগাস টাইপের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের উপর ফোকাস করে একটি মাঝারি আকারের হেমাটোলজি ইউনিট তৈরি করেন। 

ডাক্তার, নার্স ও ফার্মাসিস্টদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর ২০১৮ সালে এসে একটি পরিপূর্ণ ও সকল আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন একটি বিএমটি ইউনিট প্রতিষ্ঠিত হয় এবং অ্যালোজেনিক বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট শুরু হয়। 

এছাড়াও হাসপাতালটি উন্নতমানের ফ্লোসিটোমেট্রি, ইমিউনোহিস্টোকেমিস্ট্রি, পিইটি স্ক্যান, প্লাজমা এক্সচেঞ্জ ও আধুনিক ব্লাড ব্যাংক সেবাও দিয়ে থাকে। 

কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সময়েও সব বিএমটি ও লিউকেমিয়া সেবা চালু আছে এই হাসপাতালে। 

ডা. সালেহ বলেন, ‘এখন দেশের বাইরে না গিয়েই হেমাটোলজিক্যাল ক্যান্সারে আক্রান্ত যেকোনো রোগী এই আধুনিক চিকিৎসাসেবার সুবিধা পেতে পারেন।’

এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা বাংলাদেশের একমাত্র JCI স্বীকৃত হসপিটাল। এটি এভারকেয়ার গ্রুপের একটি অংশ। 

ইত্তেফাক/জেচএইচ