কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আওতায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে জেলা কোটা না মেনে নানা অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠেছে। আজ রবিবার বেলা ১১টায় মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের চাকরির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
এই অনিয়মের প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে চাকরিপ্রত্যাশীরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনির্দিষ্টকালীন অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
কর্মসূচির প্রধান উদ্যোক্তা ডিপ্লোমা কৃষিবিদ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং বৈষম্যের শিকার ও পদবঞ্চিত চাকরিপ্রত্যাশী মো. আরিফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
চাকরি বঞ্চিত প্রার্থীরা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাতে ৩৩ জন নিয়োগ পাওয়ার কথা থাকলেও সেখানে নিয়োগ পেয়েছে ৫২ জন, আর রংপুরে জেলা কোটায় ৩৪ জন নিয়োগ পাওয়ার কথা থাকলেও নিয়োগ পেয়েছে মাত্র ২ জন। বৈষম্য শিকার সে সব জেলা থেকে প্রতিবন্ধী, এতিম, আনসার ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা থেকে কিছু নিয়োগ দেয়া হলেও সাধারণ মেধাবীদের কোনো নিয়োগ দেয়া হয়নি।
তারা আরও জানান, ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রকাশিত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, জেলা কোটাসহ সরকার কর্তৃক প্রচলিত সব কোটা মানা হবে। তবে দীর্ঘ দুই বছর ধরে প্রিলি, রিটেন দেওয়ার পর উত্তীর্ণ ৫১১৪ জনের ভাইভা নেয়া হয়। ১৭ জানুয়ারি ওই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হয়। এতে দেখা যায়, জেলা কোটা না মেনে ইচ্ছামত স্বজন-প্রীতির মাধ্যমে প্রার্থী নেওয়া হয় যা নিয়মবহির্ভূত। সেই রেজাল্ট দেখে এক যুবক আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আওতায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগ- ২০১৮ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থীকে প্যানেলের নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চাকরি বঞ্চিতরা।
ইত্তেফাক/কেকে