মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ব্যাংক কর্মকর্তাকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে পেটালো ছাত্রদল নেতা

আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২০, ১৯:৪৬

তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ঢাকা ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার এভিপি সাইফুর রহমানকে ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ ৩/৪ জন নেতা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করেছেন। 

এ ঘটনায় ওই ব্যাংক কর্মকর্তা বাদী হয়ে রাজধানীর শাজাহানপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে ছাত্রদল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আসিফুর রহমান বিপ্লব, হাতিরঝিল থানা যুবদলের নেতা মুনতাকিন সারোয়ার রিকি ওরফে রিংকু, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সাইদুর রহমান মামুন ও গুলবাগের একটি লন্ড্রি দোকানের মালিক কামরুল। 

গত ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় শাজাহানপুরের ৩৯৪/১, গুলবাগের একটি লন্ড্রি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মামলা দায়েরের পর শনিবার সন্ধ্যায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাইদুর রহমান মামুনকে আটক করেছে পুলিশ। 

আহত ব্যাংক কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে অফিস থেকে বের হয়ে তার প্রাইভেট কার নিজেই চালিয়ে কাওরান বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। মেট্রো রেলের কাজের কারণে রাস্তা খুব সরু ও ট্র্যাফিক জ্যাম ছিল। এ সময় পেছন থেকে একজন মোটরসাইকেল চালক তার ডান পাশ দিয়ে ওভারটেক করার সময় প্রাইভেট কারের সাথে মোটরসাইকেলের হালকা ধাক্কা লাগে। 

ধাক্কা লাগা মাত্র তিনি তার ড্রাইভিং সিটের ডান পাশের গ্লাস নামিয়ে ‘সরি’ বলেন। কিন্তু মোটরসাইকেল চালক তাকে গাড়ির ভেতরেই মাথা ও মুখে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। গাড়ি থামিয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে, সাধারণ পথচারী জড়ো হয়। তারা সকলেই মোটরসাইকেল চালককে ক্ষমা চাইতে বলেন। মোটরসাইকেল চালক ক্ষমা চাইলে তিনি গাড়ি চালিয়ে বাসায় চলে যান। গুলবাগের ২৯৪ নম্বর বাসায় আসার পর স্থানীয় লন্ড্রি দোকানদার কামরুল তাকে বাড়ির সামনে মামুনের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। 

বাড়ির সামনে মসজিদ গলিতে গিয়ে সেই মোটরসাইকেল চালকসহ অন্ততপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জনকে দেখতে পান। স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মামুন বলেন, তুই এদেরকে চিনিস? বিপ্লব নামে একজনকে দেখিয়ে বলে, ও  হচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সেক্রেটারি। 

মোটরসাইকেল চালককে দেখিয়ে বলে, ‘ও রিকি হাতিরঝিল থানা যুবদলের সেক্রেটারি’। পরক্ষণেই মামুন তাকে কিলঘুষি মারতে থাকে।  বিপ্লব তার মুখ বরাবর পিস্তল দিয়ে অনবরত আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন। পরে বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তার নাকের হাড় ভেঙ্গে গেছে। 

ইত্তেফাক/জেডএইচ