শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কাউন্সিলরের পদ হারাতে পারেন ইরফান সেলিম

আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২০, ০৩:৩৮

বাবা সংসদ সদস্য, শ্বশুর সংসদ সদস্য নিজে ওয়ার্ড কাউন্সিলর। এমন ক্ষমতার কারণেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম। তবে এমন ক্ষমতাকে পেছনে রেখে তিনি যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতেন যা এতোদিন সবারই অজানা ছিলো।  

রাজধানীর কলাবাগানে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সদস্য হাজি মো. সেলিমের ছেলে ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। আজ সোমবার ( ২৬ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান এই আদেশ দেন।

এর আগে ইরফান সেলিমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা করেন নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ। ওই মামলার ৪ নম্বর আসামি গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর মামলার প্রধান আসামি ইরফান সেলিম ও তাঁর দেহরক্ষী তিন নম্বর আসামি মো. জাহিদকে অবৈধ ওয়াকিটকি ও মাদক রাখার দায়ে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় চকবাজারের দেবীদাস ঘাট লেনের বাসায় অভিযান চালিয়ে এই সাজা দেওয়া হয়। পরে তাঁদের দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। আজ মঙ্গলবার তাঁদের নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমণ্ডি থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আশফাক রাজীব হাসান।

এদিকে, র‌্যাবের হাতে আটক হওয়া ইরফান সেলিম ওয়ার্ড কাউন্সিলর থেকেও বরখাস্ত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাদক ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহারের দায়ে সাংসদ হাজী সেলিমের দ্বিতীয় ছেলে ইরফান সেলিমের এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ (সংশোধিত ২০১১) অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধের জন্য মেয়র বা কাউন্সিলররা বরখাস্ত হয়ে থাকেন। এ আইনের ১২ ধারায় মেয়র ও কাউন্সিলরদের বরখাস্ত করার বিষয়ে বলা হয়েছে।

প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিত করতে হয়।

ইত্তেফাক/এসআই