‘ইন্টারন্যাশনাল ই-কনফারেন্স অন ইমারজিং পপুলেশন ইস্যুস’ বিষয়ে দুইদিন (১-২ ডিসেম্বর) ব্যাপী ভার্চুয়াল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগ এবং ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সম্মেলনটির প্রথম দিনে (১ ডিসেম্বর) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সম্মেলনটি উদ্বোধন করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
ইউএনএফপিএ এর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টটেটিভ ড. আশা টর্কেলসন ই-সম্মেলনটির উদ্বোধনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম উদ্বোধনী অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান তার বক্তব্যে বাংলাদেশের জনসংখ্যার গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলোতে চলমান করোনা ভাইরাস মহামারির প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান তার উদ্বোধনী বক্তব্যে একইভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন ইমারজিং জনসংখ্যার সমস্যা এবং চলমান করোনা ভাইরাস মহামারির ফলে তার আর্থ-সামাজিক প্রভাব এবং সম্ভাব্য বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ড. আশা টর্কেলসন তার বক্তব্যে ট্রিপল শূন্য অর্জনের ওপর জোর দিয়েছেন। এগুলো হলো- শূন্য মাতৃমৃত্যু, পরিবার পরিকল্পনার জন্য শূন্য আনমেট এবং জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার শূন্য ঘটনা।
পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম ই-সম্মেলনটির উদ্বোধনী অধিবেশনে চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতীয় ও বৈশ্বিক উভয় প্রেক্ষাপটে চলমান মহামারি দ্বারা প্রভাবিত ইমারজিং পপুলেশন ইস্যুগুলোর আর্থ-সামাজিক, ডেমোগ্রাফিক এবং পলিসি সম্পর্কিত প্রভাব এবং তা সমাধান করার জন্য এই ই-সম্মেলনের সম্ভাবনা এবং প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে জোর দিয়ে উদ্বোধনী অধিবেশনটি শেষ করেন।
এদিন তিনটি টেকনিকাল সেশন অনুষ্ঠিত হয় এবং মোট সাতটি পেপার উপস্থাপন করা হয়। প্রথম টেকনিকাল সেশনটির শিরোনাম ছিল ‘মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং জনমিতিক লভ্যাংশ’। সেশনটির সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ও পিপিআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। এই সেশনে তিনটি পেপার উপস্থাপন করা হয়।
আরো পড়ুন: ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের ৬১ পৌরসভার ভোট: ইসি
সম্মেলনটির দ্বিতীয় দিনে (২ ডিসেম্বর) সমাপনী অধিবেশনের প্রধান অতিথি ছিলেন-ঢাবির প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন), অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।
অধ্যাপক সামাদ তার বক্তব্যে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকগন (এফডিএমএন), ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ নিশ্চিতকরণের চ্যালেঞ্জ, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মত সমস্যা, জনমিতিক লভ্যাংশের সুযোগ গ্রহণে বয়সের কাঠামো পরিবর্তন এবং ক্রমবর্ধমান প্রবীণ জনগোষ্ঠী এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের মতো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।
ই-সম্মেলনটির সমাপনী অধিবেশনের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
তিনি তার বক্তব্যে জনমিতিক লভ্যাংশ অর্জনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের ওপর জোর দিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত জনসংখ্যার মত ইস্যুগুলোর ব্যাপারেও আলোকপাত করেন।
পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম সম্মেলনটির সাফল্যের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এই আন্তর্জাতিক ই-সম্মেলনটির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
ইত্তেফাক/এএএম