উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে বিভক্তি চলে আসছে তার সুরাহা চায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকা’র (ফোবানা) নেতারা।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরিইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফোবানার নেতারা বলেন, ‘রাজনৈতিক বা অন্য
কোনো কারণে নয়, ব্যক্তিগত কারণেই মুলতঃ উত্তর আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠনগুলোতে বিভক্তি দেখা যাচ্ছে।’
আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে আমেরিকায় ফোবানা সম্মেলন আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। আগামী ৩০, ৩১ আগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর
নিউইয়র্কের লাগোয়ার্ডিয়া এয়ারপোর্ট ম্যারিয়ট হোটেলে ফোবানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য পাঠ করেন ‘ফোবানা কনভেনশন ২০১৯’ স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন খান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক জসীম উদ্দীন আহমেদ, দ্য এশিয়ান এইজের কনসালট্যান্ট এডিটর মোস্তফা কামাল মজুমদার, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি নিউইয়র্কের চেয়ারম্যান ও পরিবেশবাদী আতিকুর রহমান সালু, সাংবাদিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রিতা রহমান, ফোবানা স্টিয়ারিং কমিটির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক কাজী আজম প্রমুখ।
ফোবানার আসন্ন সম্মেলন সম্পর্কে মোহাম্মদ হোসেন খান বলেন, ‘শুরু থেকে এই সংগঠনটি উত্তর আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে সেতুবন্ধন এর দায়িত্ব পালন করছে। প্রবাসে বসবাস করলেও নিজ মাতৃভূমির সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধারণ ও লালন করার মধ্য দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিজেদের গর্বিত পরিচয় উপস্থাপন করতে চায়। এই সম্মেলনে বাংলাদেশের বিশিষ্টজনেরা অংশ নিয়ে থাকেন। আমরা বিশ্বাস করি, আমন্ত্রিত বাংলাদেশি গুণী ব্যক্তিদের উপস্থিতির মাধ্যমে সম্মেলনে দেশের শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য চর্চার যে অনুশীলন হবে, তাতে প্রবাসী পরিবারগুলোর বিপরীত সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের সদস্যদের মধ্যে শেকড়ের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রতি আকর্ষণ গড়ে উঠবে। এবারের ফোবানা সম্মেলনে দেশি-বিদেশি পণ্যের স্টলের উপস্থিতির পাশাপাশি থাকবে শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি, চিকিৎসাবিজ্ঞান, ব্যবসা-বাণিজ্য, জলবায়, নদী, ট্যুরিজম, পানিসহ সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়ের ওপর সেমিনার। বরাবরের মতোই থাকবে বিশিষ্টজনদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন: ছেলে সন্তানের মা হলেন টিউলিপ
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একই সময়ে উত্তর আমেরিকায় আরেকটি সংগঠনের সম্মেলন রয়েছে। আগে আমরা একসঙ্গেই সব অনুষ্ঠানের আয়োজন করতাম। কিন্তু এখন এই বিভক্তিতে আমরা লজ্জিত। এমনকি প্রবাসীদের এই বিভক্তির কারণে আমরা যথেষ্ট দুর্বল হয়ে পড়েছি। তবে এই বিভক্তির পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই।’
ইত্তেফাক/কেকে