মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ঢামেকের মেডিসিন বিভাগ পুনরায় চালুর আহ্বান রোগীদের

আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ২২:০৩

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ এখন করোনা রোগীদের জন্য বিশেষভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অন্যান্য সাধারণ রোগীরা এলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর পার্শ্ববর্তী সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড), সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কিংবা বিশেষায়িত কার্ডিয়াক হাসপাতালগুলোতে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন অনেকে। তাই মেডিসিন বিভাগ আবারও পুনরায় চালুর আহ্বান জানিয়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।

চাঁদপুর থেকে বাবাকে নিয়ে ঢামেকে এসেছেন হিরণ খান। তিনি ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘আমার বাবা স্ট্রোক করেছিলেন। এ কারণে তার রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাই জরুরি ভিত্তিতে চাঁদপুর থেকে ঢামেকে নিয়ে আসি তাকে। এখানে তার সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে। চিকিৎসকরা মেডিসিন বিভাগে দেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করানোর সুযোগ নেই। ’

ঢামেক হাসপাতালে প্রতিদিন রোগী নিয়ে যাওয়া-আসা করেন অ্যাম্বুলেন্স চালক রুবেল মিয়া। তিনি ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা অনেক রোগী নিয়ে আসি। করোনাকালে মেডিসিন বিভাগ বন্ধ থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কিছুক্ষণ পরই রোগীদের অন্য কোথাও নিয়ে যেতে হচ্ছে।’

ঢামেক হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘এখানকার মেডিসিন বিভাগের পুরো ভবনে এখন করোনা রোগী ভর্তি। সংক্রমিত ও অসংক্রমিত রোগীদের একইসঙ্গে রাখা যায় না। শুধু করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া যাদের করোনা পরীক্ষা নেগেটিভ আসছে, তারা পৃথকভাবে বিশেষ চিকিৎসা পাচ্ছেন।’

আবাসিক সার্জন ইত্তেফাক অনলাইনকে জানান, নন-কোভিড রোগীদের জন্য ঢামেকের আউটডোর খোলা আছে। সেখান থেকে তারা সব ধরনের ওষুধ সংগ্রহ করতে পারছেন।

মেডিসিন বিভাগ কবে আবার চালু হতে পারে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এই হাসপাতালকে করোনা রোগীদের জন্য বিশেষভাবে রাখা হয়েছে। যেহেতু করোনা রোগীদের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল একটি বিশেষ হাসপাতাল, তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মেডিসিন বিভাগ পুনরায় খোলার কোনও নির্দেশনা নেই। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েই অন্য হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে রোগীদের।’

ইত্তেফাক/এআর/জেডএইচ