ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান থাকলে কোনো মানুষের পক্ষে জঙ্গিবাদ এবং সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডে জড়ানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার এবং কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করতে অভিভাবক, ইমাম ও শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ সমাজের সব পেশার মানুষকে সচেতন হওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে ভূমিকা রাখছে আনসার-ভিডিপি’
শনিবার রাজধানী ধানমন্ডিতে বিবি ফাউন্ডেশনের (বিবিএফ) উদ্যোগে আয়োজিত ‘দেশ ভাবনা ও কর্মময় জীবনের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা’শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এ সব কথা বলেন। এ আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর ব্যাপারী।
মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটা আগেই বুঝতে পেরেছিলেন যে, কেবল ধরপাকড় আর জেল দিয়েই জঙ্গিবাদ দমন করা সম্ভব নয়। তাই মানুষকে সচেতন হতে হবে। সমাজের প্রতিটি জায়গা থেকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এজন্য ইমাম, অভিভাবক, শিক্ষক ও মিডিয়ার ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ
তিনি একটি অভিযানের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘আমরা একটা বাড়ি সারারাত ঘেরাও করে রেখেছিলাম। কিন্তু অভিযান চালাইনি। সকালে অভিযান চালাই। ঘরের ভেতরে একজনকে পাই। ঘরে রান্না করা খাবারও দেখি। ছেলেটিকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, খেয়েছো কিনা। সে খায়নি বলে জানায়। কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে বলে, একবারে বেহেস্তে গিয়ে খাবো, তাই খাইনি।’
মনিরুল ইসলাম এই ছেলের মতো আরও অনেককে যারা এই ধরনের বেহেস্তের সহজ টিকেট দিয়েছে বা দিচ্ছে সেইসব স্বপ্ন বিক্রেতাদের বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ‘জঙ্গিবাদ নয়, আলোকিত মানুষ তৈরি হোক’
অনুষ্ঠানে বিবি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বাহাদুর ব্যাপারী বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। সবার অংশগ্রহণে ২০৪১ সালের মধ্যে একটা উন্নত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান তপন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক চয়ন শিকদার ও অ্যাডভোকেট হাসান তারিক পলাশ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংবাদিক নজরুল ইশতিয়াক।
ইত্তেফাক/ইউবি