শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘বঙ্গবন্ধুর ঘাতকরা বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চায়’

আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২১, ২১:৩৯

পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক এবং ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ বলেছেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘাতকরা বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চায়। তারা মনে করে শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে সেটা সম্ভব হবে না। 

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সোমবার গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিবি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্ত : অর্জিত অভিজ্ঞতা বিনিময়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন আব্দুল কাহার আকন্দ। 

বিবি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বাহাদুর বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শেখ মসলিশ ফুয়াদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংবাদিক নজরুল ইশতিয়াক। 

আব্দুল কাহার আকন্দ বলেন, যে অভিন্ন উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে, সেই একই ধারাবাহিকতায় ঘাতকরা শেখ হাসিনাকেও হত্যা করতে চায়। আমাদেরকে ঘরে-বাইরে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। এরা দেশ, জাতি, মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস বিরোধী শক্তি। 

আব্দুল কাহার আকন্দ বঙ্গবন্ধু হত্যার তদন্তের নানা প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২২ বছর পর এই মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই মামলায় কোনো রেকর্ড ছিল না। এমনকি এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনো মামলাও ছিল না। তাই জেল হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়েই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার কিছু বিষয় জানা যায়। 

মামলার তদন্ত করতে গিয়ে তাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে উল্লেখ করে আব্দুল কাহার আকন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এমন কোনো বিষয় নয় যে পাঁচ-সাতজন মিলে চিন্তা করলেন আর মেরে ফেললেন। যেমনি স্বাধীনতা শব্দটি হুট করে আসেনি, তেমনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডও সাধারণ কোনো পরিকল্পনায় হয়নি। স্বাধীনতার আগে থেকেই তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার মাধ্যমেই তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কারণ তিনি বড়লোকদের রাজনীতি করতেন না, তিনি রাজনীতি করতেন সাধারণ মানুষের জন্য। বঙ্গবন্ধু হত্যার ধারাবাহিকতায় জেল হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়। একইভাবে ২১ আগস্ট হামলার ঘটনা ঘটানো হয়।   

 

ইত্তেফাক/ইউবি