বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বাসে অর্ধেক যাত্রী, কিন্তু...

আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১৭:২০

জনসাধরণের দুর্ভোগ কমাতে সাধারণ ছুটি অব্যাহত রেখেই লকডাউনের তৃতীয় দিনে বুধবার সবধরনের গণপরিবহন খুলে দিয়েছে সরকার। ফলে আজ বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো ব্যক্তিগত গাড়ি পাশাপাশি দখল করে নিয়েছে গণপরিবহন। মোড়ে মোড়ে দেখা গেছে, যানজটও। রাজধানীর খামার বাড়ির মোড়, মহাখালী,  প্রেস ক্লাব, পল্টন, ফার্মগেট, কাওরান বাজার ও শাহবাগসহ প্রতিটি মোড়ে গণপরিবহনের স্বাভাবিক চিত্র দেখা গেলও নেই যাত্রীদের ভিড়। এক আসন ফাঁকা রেখে বাসে যাত্রী বসলেও অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন।গাড়িতে নেই কোনো জীবানুনাশকের ব্যবস্থা।  

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ মুহূর্তে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নয়। সরকারি ব্যবস্থাপনা ছাড়াও প্রতিটি মহল্লার স্বেচ্ছাসেবীরা এগিয়ে আসতে হবে। জনসাধারণদের বাধ্য করতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে।

রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ছেড়ে আসা আজিমপুরগামী দেওয়ান পরিবহন ফার্মগেট পৌঁছে।গাড়িটির চালাক কাশেম বলেন, সকাল বের হলাম গাড়ি নিয়ে, যাত্রী নেই বলে চলে। কাল থেকে আর গাড়ি চালাতে নাও আসতে পারি। যে অবস্থা যাচ্ছে এভাবে গাড়ি চালানো যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে বলেন, সবাই তো মানতে চায় না। মন চাইলে মাস্ক পরে। বেশি বললে তারা উত্তেজিত হয়ে উঠেন।

আব্দুল্লাহপুর থেকে ছেড় আসা বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বাসে একই চিত্র দেখা গেছে। যাত্রীদের অধিকাংশ মাস্ক না পড়েই বসে আছেন। আবার কেউ আসন ফাঁকা না রেখেও বসতে দেখা গেছে। আসন ফাঁকা রেখে বসছেন না কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে এক যাত্রী বলেন, আমার সঙ্গে বোন, এজন্যই এক সঙ্গে বসেছি।

হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী ইত্তেফাক বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে এ মুহূর্তে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কোনো ছাড় নয়। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সর্বমহলের সবাই এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি মহল্লায় ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করতে যদি কেউ পরপর তিন বার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলে, মাস্ক না পরে বাড়ি থেকে বের হয়, তাকে বের হতে না দিয়ে বাসায় ফিরিয়ে দিতে হবে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে হবে।

এ বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, যেসমস্ত প্রতিষ্ঠান এখনো খোলা রয়েছে- এনজিও, সরকারি, আধা-সরকারি, শপিংমল, বাজার ৬ ঘণ্টার বেশি না খোলা না রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হলে সরকারকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এগিয়ে যেতে হবে। তাহলে আমাদের করোনা সংক্রমণ কমিয়ে আসবে। নিয়ন্ত্রণে আসবে। 

ইত্তেফাক/কেকে