শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জোরপূর্বক পাগল সাজানো ব্যবসায়ী পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার

আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৩৩

পাবনা জেলা হতে এক নারী বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত ‘বাংলাদেশ পুলিশ ফেইসবুক পেইজ’ এর ইনবক্সে জানান, তার বাবাকে আগের ঘরের ছেলে ও বড় সন্তান কিছু দুষ্কৃতিকারীর সহযোগিতায় ১৫ দিন পূর্বে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। তার বাবা পাবনা জেলায় একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার প্রথম স্ত্রীর সাথে বহু বছর আগেই ডিভোর্স হয়েছে। প্রথম সন্তানকে তিনি শুরু থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণ আর্থিক সাপোর্ট দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু সেই ছেলে জোরপূর্বক বাবার ব্যবসা দখলের পায়তারা করে। কোনো এক সুযোগে কিছু দুষ্কৃতিকারীর সহযোগিতায় প্রথম ঘরের ছেলে তার বাবাকে পথ থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। তারপর, তাকে ঢাকার কোনো একটি বেসরকারি হাসপাতালে মানসিক রোগী হিসেবে ভর্তি করিয়ে রাখে এবং এক প্রকার ফিল্মি স্টাইলে ভদ্রলোকের ব্যবসা দখল করে। 

এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স ) মো. সোহেল রানা জানান, ব্যবসায়ীর দ্বিতীয় স্ত্রী ও পরিবার তার কোনো খোঁজ না পেয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হয়। এক পর্যায়ে তারা বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজেও বার্তা পাঠিয়ে সহযোগিতা চায়। বার্তাটি দেখার পরপরই মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ভুক্তভোগীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত অবগত হয় এবং এ বিষয়ে তড়িৎ উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশনা দেয়। পাশাপাশি পাবনা জেলার অতি. পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলমকে এ বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদারকির জন্য পরামর্শ দেয়। মাসুদ আলম জেলা পুলিশ সুপারের সাথে পরামর্শ করে এ বিষয়ে তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম এর সাথেও যোগাযোগ রাখছিল মিডিয়া উইং। 

অবশেষে পাবনা জেলা পুলিশের সার্বিক তৎপরতায় স্বল্পতম সময়ে ভিকটিমের অবস্থান সনাক্ত করা সম্ভব হয়। 

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পাবনা জেলা পুলিশের একটি টিম ঢাকার বসিলায় অবস্থিত একটি অখ্যাত মানসিক রোগ হাসপাতাল ও রিহ্যাব সেন্টার থেকে উক্ত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে। উদ্ধারকালে তার স্ত্রী ও কন্যা সাথে ছিলেন। মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং সার্বক্ষনিকভাবে ভিকটিমের পরিবার ও পাবনা জেলা পুলিশের সাথে এ বিষয়টি সমন্বয় করছিল। উল্লিখিত বিষয়ে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ইত্তেফাক/এমএএম