বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার বড় নায়ায়ণপুর গ্রামের মৃত সুবীর চন্দ্র সূত্রধরের ছেলে সুভাষ চন্দ্র সূত্রধর (৩২)। দুবাই প্রবাসী। দেশে ফিরেছিলেন ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর। আর আগামী শনিবার (৮ মে) তার দুবাই যাবার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর কুড়ির ফ্লাইওয়ারে গলায় গামছা পেঁচানো রক্তাক্ত মৃতদহে পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা ‘গামছা পার্টি’ তাকে হত্যা করেছে।
সুভাষ চন্দ্র সূত্রধরের মরদেহ উদ্ধারকারী খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক শাহিনুর রহমান বলেন, আমরা ভোরে খবর পাই গলায় গামছা পেছানো রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ কুড়িল ফ্লাইওভারে পড়ে আছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি গলায় গামছা পেঁচানো রক্তাক্ত অবস্থায় উপুড় হয়ে পড়ে আছে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, পাসপোর্ট থেকে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তার পাসপোর্ট দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, তিনি দুবাই থাকতেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর তিনি দেশে আসেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, গামছা পার্টি তাকে হত্যা করেছে। আমরা তদন্ত করছি। তবে ময়নাতদন্ত শেষে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
নিহতের ভায়রা শ্রীকৃষ্ণ বলেন, পাঁচ বছর ধরে সুভাষ দুবাইতে থাকত। গত বছরের নভেম্বর মাসের ১৩ তারিখে ছুটিতে দেশে আসে। এরপর ২১ নভেম্বর বিয়ে করেন। তার ছুটি শেষে আগামী শনিবার মধ্যরাতে তার দুবাই চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু দুবাই যেতে হলে এখন করোনা টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট লাগে। বুধবার রাতে তিনি বগুড়ার শিবগঞ্জ থেকে মাইক্রোবাসে করে করোনা টেস্টের জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরে আমার শাশুড়ি তাকে ফোনে না পেয়ে আমাকে ফোন করেন। আমি রাত ৪টার সময় এয়ারপোর্ট ও খিলক্ষেত এলাকায় তাকে খুঁজতে যাই। পরে একটি নম্বর থেকে খিলক্ষেত থানার পুলিশ আমাকে ফোন করে কুড়িল ফ্লাইওভারে আসতে বলে। তার কাছে পাসপোর্ট ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি।
নিহতের বিয়াই রিপন কুমার বলেন, সুভাষের টিকেট কনফার্ম করা ছিল। টিকিটের ৪০ হাজার টাকাসহ ৬০ হাজার টাকা ছিল।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, মৃতদেহের ধরণ দেখে মনে হচ্ছে, অজ্ঞান পার্টি বা গামছা পার্টির খপ্পড়ে পড়ে তিনি নিহত হয়েছেন।
ইত্তেফাক/ইউবি