শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নিহত নারী চিকিৎসকের বাসায় চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তির যাতায়াত ছিল

আপডেট : ০৮ জুন ২০২১, ২১:০০

রাজধানীর কলাবাগানে গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. কাজী সাবিরা রহমান লিপি হত্যাকাণ্ডের ৯ দিন পার হয়ে গেলেও হত্যার কোনো মোটিভ বের করতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা। 

তবে কলাবাগানের ১ম লেনের ৫০/১ নম্বর বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরী ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, চল্লিশোর্ধ্ব এক ব্যক্তি ডা. লিপির বাসায় যাতায়াত করতেন। চেহারায় শ্যাম বর্ণের ও শরীরের গঠন হালকা পাতলা ওই ব্যক্তিকে এখনো চিহ্নিত করতে পারেনি। মূলত ঘাতক নিহতের পূর্বপরিচিত-এটা নিশ্চিত পুলিশ। ফ্ল্যাটে প্রবেশ দরজার সামনে যে দুটি সিগারেটের অবশিষ্টাংশ পাওয়া গেছে তা ঘাতকের কি না-তা নিশ্চিত হতে পারেনি। 

গত ৩০ মে কলাবাগানের ফার্স্ট লেনের ৫০/১ ভাড়া বাসা থেকে গ্রিন লাইফ হাসপাতালের কনসালটেন্ট (সনোলজিস্ট) চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপির (৪৭) রক্তাক্ত  লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে ওই বাসায় আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যান। পরে ফায়ারের কর্মীরা সাবিরার শরীরে রক্তাক্ত চিহ্ন দেখে বুঝতে পারেন- এটি একটি খুন। পরে পুলিশ গিয়ে ডা. সাবিরার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের মামাতো ভাই রেজাউল হাসান বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

আগুন ধরিয়ে দিয়ে চিকিৎসক হত্যার ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা

এ বিষয়ে কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র জানান, আমরা মামলার ক্লু উদঘাটনের চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত খুনের মোটিভ জানা যায়নি। যাদের সন্দেহ হচ্ছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে ভিকটিমের মামাতো ভাই ও মামলার বাদী রেজাউল হাসান মজুমদার জুয়েল জানান, মামলার তদন্তকারীদের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। তারা খুনিকে চিহ্নিত করে আইন আওতায় আনবে বলে আশা করি।

ইত্তেফাক/ইউবি