স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন খালি রেখে কমিউনিটি সেন্টার খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার কনভেনশন হল ও ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশন।
রবিবার (১৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আলহাজ শাহ জাকির হোসেন বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঢাকা শহরের প্রতিটি এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে কমিউনিটি সেন্টার। এসব কমিউনিটি সেন্টারে পানচিনি, বাগদান, গায়ে হলুদ, বিবাহ, বিবাহোত্তর সংবর্ধনা, জন্মদিনসহ নানা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এসব অনুষ্ঠানে অন্দর সজ্জাসহ অনেক কাজ কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ বা তাদের মনোনীত লোক করে থাকে। রাজধানীতে সরকারি-বেসরকারি কমিউনিটি সেন্টার ও কনভেনশন সেন্টারের সংখ্যা ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় চারশ। সারাদেশে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় চার হাজার। গড়ে ৫০ জন করে স্থায়ী কর্মচারী ধরলে দেশে প্রায় ২ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা
রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় চার হাজার প্রতিষ্ঠানের লোকসান হচ্ছে প্রতিমাসে প্রায় শত কোটি টাকা। এর সঙ্গে ডেকোরেটরের ক্ষতির পরিমাণ আরও প্রায় ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা। কমিউনিটি সেন্টার, ডেকোরেটর, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টসহ অন্যান্য খাতের আয়হীন প্রায় ৫ লাখ মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের পরিবারে নেমে এসেছে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি।
অনেকের খাবার কেনার মতো টাকাও নেই। সব মিলিয়ে এই খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২০ লাখের মতো মানুষ জড়িত রয়েছে। তাদের মধ্যে যারা ফটোগ্রাফি, সাজসজ্জা, লজিস্টিক সেবা দেয়, ফুল সরবরাহ করে, বোর্ড মিস্ত্রি, ডেকোরেশন ও ক্লিনিং কাজসহ বিভিন্ন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন, তারা সবাই এখন বেকার হয়ে পড়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার কনভেনশন হল ও ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, চট্টগ্রাম কমিউনিটি সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মো. সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।
ইত্তেফাক/এসজেড