শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

যানজটে যাত্রীদের ভোগান্তি

আপডেট : ১৬ জুন ২০২১, ০৮:১০

বিমানবন্দর সড়ক থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত নির্মাণ হচ্ছে দেশের প্রথম বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)। কয়েক দফা সময় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পটির। তবে বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা না করে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের ওপর উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ। এ দুর্ভোগের ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে পড়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে পরিবহন যাত্রীরা। আর যানজটমুক্ত করতে কঠোর পরিশ্রম করে ব্যর্থ হচ্ছেন স্থানীয় ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।

সরজমিনে দেখা যায়, উত্তরা আজমপুর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় মহাসড়কের উভয় পাশে সড়ক ভেঙে খানাখন্দে পরিণত হয়ে পরিবহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে যে পথ পাড়ি দিতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগার কথা, বর্তমানে সময় লাগছে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা।

No description available.

[ছবি: সংগৃহীত]

যাত্রীদের অভিযোগ, পরিবহন চলাচলের জন্য বিকল্প সড়ক তৈরি না করেই মহাসড়ক বন্ধ করে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে জয়দেবপুর-টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কে যেতে কিছুদিন আগেও লাগত দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। আর এখন সামান্য বৃষ্টি হলে লাগছে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা। এছাড়াও প্রতিদিনই খানাখন্দে পড়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। পরিবহন যাত্রীদের পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়ছে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।

এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মূলত গাজীপুর থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত সড়ক খানাখন্দে ভরা। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই, সেই সঙ্গে উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। অধিকাংশ স্থানে সড়ক বিভাজন নেই। সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে যানবাহন আটকে পড়ছে। আমরা সীমিত জনবল দিয়ে কোনোভাবেই সড়কের এই অংশে যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, এই সড়কে কোনো ধরনের শৃঙ্খলা নেই। কাজ চলমান থাকায় এক দিকে সড়ক সরু হয়ে পড়ছে অন্যদিকে যানবাহনের চাপে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

ইত্তেফাক/এমআর