মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে সর্বস্ব লুট

আপডেট : ১৮ জুন ২০২১, ০২:২৬

অফিস শেষে রাজধানীর কুড়িল বিশ্ব রোড এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম। তার মতো আরো কয়েক জন অপেক্ষা করছিলেন। বাসে উঠতে না পেরে আরিফের সঙ্গে তারা আক্ষেপ করছিলেন। কিছু সময় পরে সেখানে আসে একটি প্রাইভেটকার। সামনে থেকে ছুটে যান কয়েক জন। তাদের পিছু পিছু যান আরিফুলও। গিয়ে দেখেন গাড়িতে আগে থেকেই চালকসহ তিন জন আছেন।

একটি সিট খালি পেয়ে তিনিও উঠে বসেন। তাকে মাঝখানে বসিয়ে গাড়ি সামনে যায়। কিছু দূর যেতেই দুপাশ থেকে দুজন চেপে ধরে আরিফুলকে। তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তখন আরিফকে ক্রমাগত কিল-ঘুসি মারতে থাকে সহযাত্রীর বেশে থাকা ডাকাতরা। এরপর আরিফের সঙ্গে থাকা ফোন, নগদ টাকা ও বিকাশের পিন নম্বর নিয়ে নেয়। সব লুটে চোখে স্প্রে করে গাজীপুরের কালীগঞ্জে রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়া হয় আরিফকে।

গত ২০ মে রাতে কুড়াতলী বিআরটিসি বাস কাউন্টারের সামনে থেকে প্রাইভেটকারে গিয়ে ছিনতাইয়ের শিকার হন তিনি। আরিফুল এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন। এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তরা বিভাগ বুধবার রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থেকে এই চক্রের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে।

এরা হলো চক্রের প্রধান মানিক মিয়া, জাকির হোসেন, আরিফ, হযরত আলী ও জাহিদ হোসেন। এ সময় জব্দ করা হয় ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত সাদা রঙের প্রাইভেটকার, একটি মোবাইল ফোন, লোহার বাটযুক্ত একটি ছুরি, একটি সবুজ রঙের পুরোনো গামছা, একটি খাকি স্কচটেপ, লাল-কালো রঙের ইলেকট্রিক তার, কালো বাটযুক্ত একটি স্ক্রু ড্রাইভার, একটি লোহার তৈরি লিভার।

বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, তারা ঢাকা মহানগরীর খিলক্ষেত, কুড়িল, বিশ্ব রোড এলাকা থেকে ভুলতা-গাউছিয়া ও এয়ারপোর্ট থেকে ময়মনসিংহ, শেরপুরে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে যাত্রী ওঠায়। পরে যাত্রীদের গলায় ইলেকট্রিক তার পেঁচিয়ে, গামছা দিয়ে চোখ ও হাত বেঁধে, মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে, গলায় ছুরি ধরে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নির্জন স্থানে ফেলে দিয়ে চলে যায়।

ইত্তেফাক/এসআই