অস্ত্রসহ ‘ভাড়াটে খুনি’ ও সন্ত্রাসী দলের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি জানায় ডিবি।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, রিভলবার ও প্রায় তিন হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো-সাহাজামান ওরফে সাবু, সাইফুল ইসলাম ওরফে সুজন ও দুলাল বেড়া ওরফে জেএমবি দুলাল।
পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার চাঁদপুর ও শরীয়তপুর জেলার মধ্যবর্তী হাইমচর থানার মিয়া বাজার চর এলাকায় এক অভিযান চালিয়ে প্রথমে সাহাজামান ওরফে সাবুকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সাবুর দেওয়া তথ্যমতে, সাইফুল ইসলাম ওরফে সুজন ও দুলাল বেড়া ওরফে জেএমবি দুলালকে আজ ভোরে ঢাকার পল্লবী থানার কালাপানি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিবির ভাষ্যমতে, রাজধানীর ভাষানটেক, পল্লবীসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক কারবারি, চাঁদাবাজিসহ ভাড়ায় খুন করার কাজ করে আসছিলো তারা এবং তাদের সাহায্য করে আসছিল বিদেশ পলাতক সন্ত্রাসী ইব্রাহিম ও যুবরাজ।
ডিবির ডিসি (গুলশান) মশিউর রহমান জানান, হাইমচরের মিয়াবাজার দুর্গম এলাকা থেকে সাবুকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে ঢাকায় এনে পল্লবী থানার বাউনিয়া বাঁধ এলাকায় অবস্থিত তার বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ইয়াবা ও রিভলবার উদ্ধার করা হয়। সাবুকে দিয়ে কৌশলে অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় আসতে বলা হয়। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় অপর দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
এই ঘটনায় পল্লবী থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক মামলা হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ।
গত ১৫ মার্চ রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার পশ্চিম মাটিকাটা এলাকায় ঠিকাদার আরব আলীর কাছে চাঁদা দাবি করে এই সন্ত্রাসীরা। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ৩০ মার্চ দুপুরে আরব আলীর পা ও ঊরুতে গুলি করে তারা। এ ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করে ভুক্তভোগী। ডিবি গুলশানের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম তদন্তের দায়িত্ব পায় মামলাটির। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক মামলা হয়েছে।
এই ঘটনার ভিত্তিতে পল্লবী থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়।
ইত্তেফাক/আইডি/এএএম