অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ‘প্রতিষ্ঠানটি দেউলিয়া ঘোষণার’ পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানিয়েছে র্যাব। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উত্তরা র্যাব সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে আল মঈন জানান, গ্রেফতারের পর রাতে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাসেল নিজেই স্বীকার করেছেন গ্রাহকের কাছে তার দেনার পরিমাণ প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।
তিনি আরও জানান, ইভ্যালিতে মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিনিয়োগ বেশি ছিল না। তাদের ব্যবসায়ীক অপকৌশল ছিল নতুন গ্রাহকের পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে পুরনো গ্রাহকদের পণ্য ডেলিভারি দেওয়া। এভাবে যত গ্রাহক বাড়বে তত দায় বাড়বে। কেননা তাদের বর্তমানে যে সম্পদ আছে তা দিয়ে গ্রাহকের দায় মেটানো সম্ভব না। এভাবে দায় যখন বাড়বে তখন সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা করেছিলেন রাসেল।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মো. রাসেলকে ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে আটক করে র্যাব। পরে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের হওয়া প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের গ্রেফতার দেখানো হয়। এ মামলায় শুক্রবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ইত্তেফাক/ইউবি