রাজধানীতে নগরবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী হলো যানজট। অফিস আওয়ার্স কিংবা ছুটির দিন নগরবাসী কখনো রেখাই পান না এই ভোগান্তি থেকে।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরের আগ থেকেই রাজধানীর প্রতিটি পয়েন্ট ছিল অসহনীয় যানজট। আর বাসস্ট্যান্ডগুলোতে গাড়ির জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে যাত্রীদের। রাজধানীর সাত রাস্তা, মগবাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ ও কাওরানবাজার সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
১৫ মিনিটের রাস্তা ৪০ মিনিট পার হলেও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি পাঠাও চালক মো. রাসেল। তিনি ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘গত কয়েক দিনের ধরেই সড়কে জ্যাম বেড়েছে, আজ তো দুপুরের একটু পর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় গাড়ির জট। এ কারণে গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেক সময় নিচ্ছে। ১৫ মিনিটের সড়ক এক ঘণ্টা পর্যন্ত চলে যাচ্ছে।’
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে যানজট। ছবি: ফোকাস বাংলা
কাওরানবাজার মোড়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন নাজমুল ইসলাম। অন্যান্য দিনের মতো আজ সহজে গাড়ি মিলছে না। তিনি বলেন, ‘বনানী যাবো। গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। বৃষ্টি হওয়ায় গাড়ির সংখ্যা কমে গেছে। এজন্য হয়তো গাড়ি যানজটে আটকিয়ে আছে।’
কাওরানবাজারে দায়িত্বরত তেজগাঁও বিভাগের ট্রাফিক সার্জেন মঞ্জুরুল ইসলাম দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘আজ ছুটির দিন হলেও সড়কে কিছুটা যানজট বেড়েছে। তবে, বৃষ্টি থামার পর এখন আর গাড়ি থেমে নেই। গাড়ি চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে আশা করি।’
যানজটে মোটরসাইকেল আরোহীরা। ছবি: ইত্তেফাক
এ প্রসঙ্গে রমনা ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রেফাতুল ইসলাম দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘করোনার জন্য অনেক কাজ আটকে ছিল। লকডাউনের পরে দেশ অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় অনেক কাজ একসঙ্গে শুরু হয়েছে। ফলে, বেশ কিছুদিন রাজধানীর ধরে সড়কে যানজট দেখা যাচ্ছে। এছাড়া, আজ বৃষ্টি। আমরা সাধারণত ছুটির দিগুলোতে একটু অবসর থাকি অথচ আজ উল্টো চিত্র। বৃষ্টি হওয়ায় বিকেল ৫টা পরও সড়ক স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছি।’ মূলত বৃষ্টি ও সড়কে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলায় এমন যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ইত্তেফাক/এনই/এএএম