শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মাসে লাখ টাকা চাঁদা নইলে ব্যবসা বন্ধ

আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২১, ১০:৩৭

রাজধানীর ভাসানটেকের এক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীরা। তাদের হুমকিতে দুই সন্তানসহ প্রাণ বাঁচাতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী হেলেনা আক্তার। সন্ত্রাসীরা কারাবন্দি শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাসের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করেছে। চাঁদাবাজ গ্রুপে রয়েছে কিশোর গ্যাং বাহিনী। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় কিশোর গ্যাং পাঠিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে তারা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী র‌্যাব-৪ এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর আগে তিনি গত ২৭ আগস্ট ভাসানটেক থানায় একটি জিডিও করেছেন।

র‌্যাব-৪-এর কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ১৫ বছর ধরে তিনি কচুক্ষেত এলাকায় স্টকলটের ব্যবসা করে আসছেন। গত ২৭ আগস্ট তার মোবাইল ফোনে কারাবন্দি শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাসের ভাগনি জামাই ইমন পরিচয় দিয়ে বলে, ‘কচুক্ষেত এলাকায় ব্যবসা করতে হলে আব্বাস মামাকে ১ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে, নয়তো প্রাণে মেরে ফেলা হবে।’ পরে ইমন ও তার ছোট ভাই বাবু ওরফে লিখনসহ ১২/১৫ জন সন্ত্রাসী কচুক্ষেত নূর মসজিদের সামনে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তারা মাসে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে, আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসার পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঐ দিন তিনি ভাসানটেক থানায় একটি জিডি করেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, থানায় জিডি করার পর সন্ত্রাসীরা মাঝেমধ্যেই অপরিচিত মোবাইল ফোন নম্বর থেকে ফোন করে জিডিটি তুলে নিতে হুমকি দেয়। এ অবস্থায় তিনি ব্যবসা করতে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। ভাসানটেক ও কাফরুল থানা এলাকার কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, মিরপুর-১৪ নম্বর সেকশন, পুরাতন কচুক্ষেত এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাসের নামে চাঁদাবাজি হয়। এই চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে ইমন ও লিখন। তাদের নেতৃত্বে রয়েছে ৩০ জনের কিশোর গ্যাং । এরা ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, বাড়ি দখলসহ মাদক কারবারে জড়িত।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এনামুল জানান, ব্যবসায়ীর করা জিডির তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে জিডিটি আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পেলে পরে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হবে।

ইত্তেফাক/এমআর