বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সিপিডি’র আন্তর্জাতিক সভায় বিশেষজ্ঞরা

সার্কের বদলে নয়া আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন

আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:০৮

এসডিজি অর্জনে আঞ্চলিক সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সংস্থা হিসেবে সার্ক সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। এ পরিস্থিতিতে এ অঞ্চলের উন্নয়নে নতুন আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সভায় তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা বলেন, দক্ষিণ এশিয়াকে বাদ দিয়ে এসডিজি অর্জন সম্ভব নয়। এজন্য এ অঞ্চলের দেশগুলোর এগিয়ে যাওয়ার জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

‘দক্ষিণ এশিয়ার এসডিজি’র বাস্তবতা : আঞ্চলিক কাঠামোর সন্ধানে’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে এতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডি’র সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এসডিজি লক্ষ্য অর্জন করতে দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে এই মুহূর্তে আঞ্চলিক কাঠামোর উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, সার্ক কার্যকর না হওয়ায় জনপ্রত্যাশার সঙ্গে আমাদের আঞ্চলিক কাঠামোর ব্যবধান তৈরি হয়েছে। এটি দূর করার জন্য হয়তো নতুন ধরনের পদ্ধতি এবং নতুন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রয়োজন পড়বে।

ড. গওহর রিজভী বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ সফল হয়েছিল। সময়ের ব্যবধানে এসডিজির চ্যালেঞ্জ তুলনামূলক বেশি। লক্ষ্য পূরণও বেশ কঠিন হবে। এশিয়ার সাফল্যের উপর বিশ্ব এসডিজির বাস্তবায়ন নির্ভর করে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সব সময় আঞ্চলিক সহযোগিতা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। এসডিজি অর্জনে সার্কের বিকল্প হিসেবে কার্যকর আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দেন তিনি।

ইউএন এসকাপের দক্ষিণ এশিয়া—পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের প্রধান ড. নগেশ কুমার বলেন, দক্ষিণ এশিয়াকে এগিয়ে নিতে হলে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহায়তায় গুরুত্ব বাড়াতে হবে। এ সময় জার্মানভিত্তিক সংস্থা ফ্রেডরিক এবার্ট স্টিফটুং (এফইএস) বাংলাদেশ অফিসের আবাসিক প্রতিনিধি টিনা ব্লুম, ঢাকা চেম্বারের (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরামর্শক অ্যাম্বাসেডর তারিক করিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ইত্তেফাক/আরকেজি