শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিজিএমইএ ভাঙতে এসেছে রাজউক, পুলিশ মোতায়েন

আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:২৩

অবশেষে রাজধানীর হাতিরঝিলে অবস্থিত তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন-বিজিএমইএ’র আলোচিত বহুতল ভবন ভাঙার কাজ শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে ভবনের সামনে যন্ত্রপাতি নিয়ে উপস্থিত হয়েছে রাজউকের প্রতিনিধি দল। মোতায়েন করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য।

রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার অলিউর রহমান ইত্তেফাক অনলাইনকে জানান, ভেতরের মালপত্র অপসারণে দুই ঘণ্টা সময় দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময় দুপুর ১২টার পর ভবন ভাঙার কাজ শুরু হবে।পরবর্তীতে এই সময় বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

নির্ধারিত সময়ের পর কি পদক্ষেপ নেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময় হলেই আপনারা সবকিছু দেখতে পাবেন। 

এদিকে ভবন ভাঙার জন্য রাজউকের কিছু ভারী যন্ত্রপাতিও আনা হয়েছে। মূল ভবনের বাহিরে রাস্তায় সেগুলো রাখা হয়েছে। কোন পদ্ধতিতে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ শুরু হবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি রাজউকের এই কর্মকর্তা। 

আরও পড়ুন : খুলনায় ১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি​

বিজিএমইএ ভবন ভাঙার প্রস্তুতি নিলেও এ সময় রাজউক বা সিটি কর্পোরেশনের কোনো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। পুলিশ ওই ভবনের ভেতরে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করছে। বাইরে উৎসুক জনতা ভিড় করছে। 

তবে ভবনের বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে লোক ডাকা হয়েছে বলে জানান খন্দকার অলিউর রহমান। তিনি জানান, ভবনটিতে এখনও কয়েকটি অফিস রয়েছে। মূলত সেসব অফিসের মালামাল সরিয়ে নিতেই এই সময় দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ভবন থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। 

হাতিরঝিলে ভবনটি আদালত কর্তৃক চূড়ান্ত রায়ে অবৈধ ঘোষিত হয় পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠনের এই ভবনটি। একাধিকবার সময় বাড়িয়ে সর্বশেষ আগামী ১২ এপ্রিলের মধ্যে ভবনটি ছাড়তে সময় বেঁধে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। সেসময় বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ইত্তেফাককে বলেন, ৩ এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন ভবনের উদ্বোধন করবেন। আর আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই হাতিরঝিলের ভবনটি ছেড়ে নতুন ভবনে চলে যাব। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে।

সে অনুযায়ী ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর উত্তরায় নতুন ভবন নির্মাণের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন। 

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট ওই ভবনটি অবৈধ হিসেবে রায় দিয়ে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেয়। দুই বছর পর ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ হাইকোটের্র পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ। শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগ ওই আবেদন খারিজ করে রায় দেয়। এরপর একাধিকবার সময় বাড়িয়ে সর্বশেষ ১২ এপ্রিলের মধ্যে ভবনটি স্থানান্তরের বিষয়ে মুচলেকা দেওয়া হয় বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে।

ইত্তেফাক/কেআই/এএম